আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দেশের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালীন কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে। ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ ড্র করে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

শেষ ম্যাচে জয় পেলে অনেকটাই বাছাইপর্ব উতরে যাবে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টানা চার ম্যাচে জয়হীন আর্জেন্টিনা। হোম ভেন্যুতে ভেনেজুয়েলার পর পেরুর বিপক্ষেও গোলশূন্য ড্রয়ে মূল্যবান পয়েন্ট খুঁইয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাঁচাতে মেসিদের হাতে আর একটি ম্যাচ বাকি। পয়েন্ট টেবিলের বর্তমান অবস্থান সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজই ফেলেছে। তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি।

আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি থেকে বাঁচতে। হৃদ রোগে যেন কেউ মারা না যান, সেজন্য দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সকল প্রুস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এর আগে পেনাল্টি শুটআউটে অনেকেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

আমরা সমর্থকদের আবেগকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারবো না। তবে, সব রকমের পরিস্থিতির জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হচ্ছে। পেরু-কলম্বিয়া ম্যাচে যেই জিতুক আর্জেন্টিনার জয়ে একটি দল জায়গা হারাবে। ব্রাজিলে গিয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে চিলিকে। ভেনেজুয়েলাকে আতিথ্য দেবে প্যারাগুয়ে। হোম ভেন্যুতে উরুগুয়ের সামনে বলিভিয়া। আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইকুয়েডর। বুধবার (১১ অক্টোবর) সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায়।

মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়,ম্যাচ চলাকালীন পুরো ৯০ মিনিট যাতে কেউ অ্যালকোহল গ্রহণ না করেন। ম্যাচের আগে থেকেই বাসায় আলু-গাজরের তৈরি খাবার বানিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেই সাথে ম্যাচ চলাকালীন আর্জেন্টাইনদের হাত-পা সচল রাখার জন্য বলা হচ্ছে। ম্যাচের বিরতিতে সমর্থকদের রিলাক্সের জন্য হাঁটা-চলা করার অনুরোধ করা হচ্ছে। আর যাদের হৃদযন্ত্রের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে তাদের ম্যাচ দেখা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের ইন্টারনেট থেকে ম্যাচের অংশবিশেষ দেখার জন্য বলা হচ্ছে।