রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন

তবে যেসব স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি, একাধিক হাদিসের বর্ণনায় তাও ওঠে এসেছে-
১. হজরত আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শুধু গোসলখানা ও কবরস্থান ছাড়া সমগ্র জমিনই মসজিদ (তথা নামাজের স্থান হিসেবে গণ্য)।’ (আবু দাউদ)
২. হজরত আল-বারাআ ইবনু আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উটের আস্তাবলে নামাজ আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তোমরা উটের আস্তাবলে নামাজ আদায় করবে না। কারণ তা শয়তানের আড্ডাখানা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বকরীর খোঁয়াড়ে নামাজ আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সেখানে নামাজ আদায় করতে পার। কারণ তা বারকাতময় প্রাণী (বা স্থান)।’ (আবু দাউদ)
৩. তবে দুর্বল সনদে আরও কিছু স্থানের বিবরণও ওঠে এসেছে; যেখানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি। তাহলো-
হজরত আবু সালিহ আল-গিফারি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, কোনো এক সফরে হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘বাবিল’ নামক শহর অতিক্রমকালে তার কাছে মুয়াজ্জিন এসে আসরের নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি চায়। কিন্তু তিনি মুয়াজ্জিনকে ‘বাবিল’ শহর থেকে বেরিয়ে ইকামাত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুয়াজ্জিন ইক্বামত দিলে তিনি নামাজ আদায় করলেন এবং নামাজ শেষে বললেন-
‘আমার প্রিয় বন্ধু নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কবরস্থানে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে আমাকে ‘বাবিল’-এর জমিনে নামাজ আদায় করতেও নিষেধ করেছেন। কারণ তা অভিশপ্ত জমিন।’ (আবু দাউদ)
হাদিসের আলোকে উল্লেখিত স্থান ছাড়াও আরও কিছু স্থানে নামাজ পড়া যাবে না। সেগুলো হলো-
১. ময়লা-আবর্জনার স্থান বা অন্ধকার কুপ। যেখানে ঝাড়ু কিংবা পরিষ্কার করার পরও নাপাকি থেকে যাবে। অপবিত্র জায়গায় নামাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
২. কসাইখানা। যেখানে পশু জবেহ করা হয়। রক্ত ও ময়লা দ্বারা যে স্থান দুষিত ও অপবিত্র হয়; সে স্থানও নামাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
৩. কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে না। তবে জানাজা পড়া যাবে। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা এসেছে।
৪. মানুষের চলাচলের রাস্তায় নামাজ পড়া যাবে না। যেখানে নামাজ পড়লে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়। কিংবা মানুষের পথ চলায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। যে কারণে নামাজি ব্যক্তি নামাজে বিভ্রান্তির শিকার হয়। তবে জুমআর নামাজের জন্য যদি পথচারী চলাচল বন্ধ থাকে তবে সেখানে জুমআ পড়া যেতে পারে।
৫. গোসলখানা বা বাথরুম। এটি গোসল, অজু ও পবিত্রতা অর্জনের জন্য নির্ধারিত স্থান বলে বিবেচিত। এতে নামাজ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হলো- এখানে শয়তান আশ্রয় নেয়।৬. উটের (আস্তাবল) আশ্রয়স্থল। যেখানে উট রাখা হয়। এ স্থানে নামাজ পড়ার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
৭. কাবা শরিফের উপরে বা ছাদে নামাজ পড়া যাবে না। কারণ এখানে কেবলার দিক নেই। আবার কিছু অংশ থাকলেও কিছু অংশ বাদ পড়ে যায়। এ কারণেই ইসলামিক স্কলাররা কাবা শরিফের উপরে তথা ছাদে নামাজ পড়া যাবে না মর্মে মত দিয়েছেন।
৮. দখলকৃত জমিতে নামাজ পড়া যাবে না। অবৈধভাবে কারো জমি দখল করে সেখানে নামাজ পড়াও নিষিদ্ধ।
৯. ‘বাবিল’ নামক অভিশপ্ত নগরী। কিংবা যেসব স্থানকে অভিশপ্ত বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে; সেসব স্থানেও নামাজ পড়া যাবে না মর্মে হাদিসের দুর্বল বর্ণনায় ওঠে এসেছে।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসে উল্লেখিত এ স্থানগুলো ছাড়া নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ না থাকলেও নামাজ আদায় করে নেওয়া। নামাজের ওয়াক্তের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাসময়ে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- একলাফে বেড়ে গেলো সৌদি রিয়াল রেট
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড়
- মানিব্যাগে ভুলেও যেসব জিনিস রাখবেন না
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা
- সেভেন সিস্টার্স ইস্যুতে উত্তাল ভারত, বাংলাদেশকে ‘ভেঙে ফেলার’ হু/মকি
- বাংলাদেশে আজ ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংক: দাম ও সেবা পেতে যা জানতে হবে
- প্রকাশ্যে এলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
- ৫ এপ্রিল ঝড় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে যে যে জেলায়
- মনের ভুলেও খেজুর খাবেন না যারা
- বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
- মেট্রোরেলে ঘটে গেলো অদ্ভুত কান্ড, ভাইরাল ভিডিও
- দেখা গেলো পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে
- সাবেক স্ত্রীদের খুশি করতে যা করলেন শাকিব
- মালয়েশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা