ব্যায়াম বা ডায়েট ছাড়াই ১০ কেজি ওজন কমানোর পরীক্ষিত ৪টি কৌশল
ওজনের সমস্যা আমার ছোটবেলা থেকেই। যত যাই করি, কিছুতেই ওজন কমে না। কষ্ট করে কমিয়ে ফেললেও কিছুদিনের মাঝেই আবার বেড়ে যায়। খেতাম খুব অল্প। দিনে একবার রুটি খেতাম, রাতে। সকালে চা বিস্কিট। দুপুরে ফল বা দুটো রুটি। কিন্তু তাতেও ওজন কমার লক্ষণ নেই। বরং ওজন যেন হু হু করে বাড়ছিল। সেই আমারই গত কিছু মাসে ১০ কেজি ওজন কমে গেছে, তাও কোনরকম ব্যায়াম বা ডায়েট ছাড়াই। কীভাবে? আপনাদের জানাবো আজ সেই কৌশলটাই!
তবে কৌশল জানাবার আগে বলে রাখি যে আমি কোন রকম ডায়েট বা ব্যায়াম করিনি। চলুন, তবে বলে দিই কী কী করেছি আমি।
ঘড়ির কাঁটা ধরে খাওয়া দাওয়া:
আমার রুটিন ছিল প্রচণ্ড এলোমেলো। কখন কী খেতাম তার কোন ঠিক নেই। খিদে পেলে খাচ্ছি, না হলে সারাদিন না খেয়ে থাকছি। বেশিরভাগ দিনই সকালে কোনরকম চা বিস্কিট খেতাম আর একবারে রাতে খেতাম। ভাবতাম এটা করে ডায়েট হচ্ছে। আসলে হচ্ছিল সম্পূর্ণ উল্টো, হু হু করে বেড়া যাচ্ছিল আমার ওজন।
আমি প্রথমেই ৫ বেলা খাওয়া শুরু করলাম। একদম ঘড়ির কাঁটা ধরে। খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় কঠোর ভাবে মেইনটেইন করা উচিত, এটা ওজন কমাতে খুব কাজে আসে। এটা বিজ্ঞানীরা বলেন, কিন্তু আমি নিজে এর প্রমাণ। সকাল ৮ তার ভরপেট নাস্তা, যা মন চায় সেটাই খেতাম। ১১ টার দিকে চা আর বিস্কিট। তারপর দুপুরে একটু পোলাও চালের ভাত বা রুটি (আমি সিদ্ধ চাল খেতে পারিনা)। বিকালে কোনদিন চা-মুড়ি, কোনদিন বিস্কিট বা ফল।
রাতে আবার দুপুরের মতই। এটাই খেয়েছি মূলত। নিয়ম করে খেলে অসময়ে ক্ষুধা একেবারেই লাগে না। আর আজেবাজে খাবার খেতেও ইচ্ছা না।
ঠিক মত ঘুমানো:খুব রাত জাগতাম আমি। ঘুমাতে যেতাম রাত ৩/৪ টায় আর সকালে উঠতাম ১০ টার পর। কোন কোন দিন ১১ টাও বেজে যেত। সেই আমি ঘুমতাকে একেবারে রুটিনের মাঝে নিয়ে এসেছি। সকাল ৭ টায় জেগে যাই এবং রাত ঠিক একটায় ঘুমাতে যাই। চমৎকার এই রুটিনের কারণে আমার খিটখিটে মেজাজ ও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা একেবারেই চলে গেছে। সেই সাথে কমে গেছে আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রবণতা।
তেলের পরিমাণ অর্ধেক:
ডায়েট বলতে একটি কাজই করেছি আমি আর সেটা হলো তেল খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। না, বন্ধ করিনি। তবে রান্নার আগে যে পরিমাণ তেল ব্যবহার করতাম তাঁর অর্ধেক ব্যবহার করি এখন। ভাজা খাবারটা কম খাই। খেলেও টিস্যু দিয়ে তেল শুষে তারপর কিংবা ওভেনে বেক করে। সত্যি বলতে কি, রুটিন বাঁধা ডায়েট হলে ভাজা খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে যায়।
ফল ও সবজি কাঁচা খাওয়ার অভ্যাস:
আমি এখন আর রান্না করা ফল বা সবজি খাই না। যা খাই, কাঁচা সালাদ হিসাবে। মূলত শসা, গাজর, আপেল, টমেটো, ধনে পাতা, লেবু ইত্যাদি থাকে আমার সালাদে। সাথে থাকে টক দই। রান্না করা সবজি খেয়ে আসলে খুব একটা উপকার হয় না আপনার স্বাস্থ্যের। দিনে দুই বেলাই খাবারের সাথে এই সালাদ থাকে আমার।
পরিশিষ্ট:
সব কথার শেষ কথা এই যে, যে আমি একটু ওজন কমালেই আবার দ্বিগুণ বেড়ে যেত , সেই আমার ওজন এখন আর বাড়ছে না। বরং প্রতিনিয়ত কমছে। ৪ মাসে ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে, স্থায়ীভাবে। এবং কোন রকম ডায়েট ও ব্যায়াম ছাড়াই। জীবন যাপনে এই পজিটিভ ছোট্ট পরিবর্তনগুলো করতে পারেন আপনিও আর হয়ে উঠতে পারে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
- চরম দু:সংবাদ : ভিসা বন্ধ করল,,,,,,,,,,,
- সমন্বয়ক হাসনাত সেনাবাহিনীর হাতে গ্রে ফ তা র, বেরিয়ে এলো আসল তথ্য
- বিসিবি প্রেসিডেন্ট পদে মাশরাফি: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কোন পথে
- ব্রেকিং নিউজ : যত কোটি টাকার চুক্তিতে আইপিএলে দল পেলেন তাসকিন
- ছাত্রলীগের মিছিল, পরিস্থিতি থমথমে হওয়ার...........
- হুট করেই এলোমেলো সিঙ্গাপুর ডলার রেট, দেখেনিন আজকের সিঙ্গাপুর ডলার রেট কত
- বাদ লিটন দাস :চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা,আরও বাদ পড়লেন যারা
- বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুর ডলার রেট, দেখেনিন আজকের সিঙ্গাপুর ডলার রেট কত
- আরও বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুর ডলার রেট, দেখেনিন আজকের সিঙ্গাপুর ডলার রেট কত
- শাহরুখের স্ত্রী গৌরী ধর্ম পরিবর্তন, এতদিন পর কেন ধর্ম পরিবর্তন করলেন গৌরী, জানুন আসল সত্য
- অনেক বড় পরিবর্তন, হুট করে ভিসা বন্ধ করলো
- হুট করেই এলোমেলো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট, জেনেনিন আজকের রেট কত
- এইমাত্র পাওয়া : শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন, দেশজুড়ে চাঞ্চল্য, আসল তথ্য ফাঁ স
- বড় সুখবর : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু,,,,,,,,,,,
- PSL 2025 নিলাম: রেকর্ড পারিশ্রমিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ যে....