শুরু হয়েছে গনপরিবহন চলাচল, ঢাকায় ঢুকছে বাইরের বাসও

টানা দুই দিন স্থবিরতার পর গণপরিবহন আবার চলা শুরু হওয়ায় লকডাউনের তৃতীয় দিনেই স্বাভাবিক রূপে ফিরে এসেছে রাজধানী ঢাকা। আগের মতোই চলছে বাস, মোড়ে মোড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এসবে বিলীন করোনার বিস্তার প্রতিরোধে সরকারের আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনো তাগিদ নেই। মাস্ক নেই বেশির ভাগ মানুষের মুখে। কারও কারও মাস্ক ঝুলছে থুতনি বা গলায়।
এদিকে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন জেলা থেকে বাস ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য বাস রাজধানীতে প্রবেশ করছে। একই সঙ্গে সিলেট, কুমিল্লা ও লাকসাম এলাকার দূরপাল্লার বাসগুলোকেও প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিকের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোবিন্দ চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। যাত্রাবাড়ী পয়েন্ট দিয়ে বাইরের গাড়ি প্রবেশ করছে কি না সেটা আমরা তদারকি করছি। নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি গাড়ি নিয়ে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাজধানীর লোকাল বাসগুলোতে চলছে যাত্রীদের আগে ওঠার প্রতিযোগিতা। ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির পর ১০ টাকার ভাড়া ১৬ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও বাসগুলো ২০ টাকার নিচে যাত্রী তুলছে না।
ভাড়া বেশি চাওয়ায় কয়েকটি বাসে উঠতে গিয়েও নেমে আসেন গুলিস্তানগামী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখান থেকে গুলিস্তানের বাস ভাড়া সবসময়ই ১০ টাকা করে। কিন্তু ২০ টাকার কমে বাসে উঠতে দিচ্ছে না হেলপাররা। সরকারের উদ্ভট সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ওপর এমন জুলুম করার সাহস পায় বাস চালকরা।
মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আফসানা খান বলেন, আমার অফিস মোহাম্মদপুরে। দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অ্যাপে মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে। তাই এদের দ্বারস্থ হয়েছি। আগে গন্তব্যে ১৩০/১৫০ টাকায় যেতে পারতাম। কিন্তু এখন ২০০ টাকার কমে যেতে রাজি না।
মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়েই এক বছর ধরে সংসার চালাচ্ছি। এটি বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। এখন তো অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী পাই না। তাই ভাড়া একটু বেশি হতে পারে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও এটি লকডাউন কি না, তা নিয়ে সরকার নিজেই দ্বিধাবিভক্ত। সরকারের মন্ত্রীরা লকডাউন বললেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন বিধিনিষেধ।
লকডাউনের প্রথম দুদিন বাস ছাড়া রাজধানীর চেহারা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু অফিসমুখী মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে তৃতীয় দিনে এসে অনুমতি দেয়া হয় বাস চলাচলের। তাতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও, করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিতে লাগাম টানা মুশকিল হিসেবেই দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বাস চলার মধ্য দিয়ে রাজধানীও ফিরে পেয়েছে তার স্বাভাবিক চেহারা। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মগবাজার, ফার্মগেট, বাড্ডা রোডে যানজটও দেখা যায়। সময় যত গড়িয়েছে, পরিবহনের সংখ্যাও বেড়েছে, সড়কও হয়েছে ধীরগতির।
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, লকডাউনে মহানগরে চলাচলের ভোগান্তি বিবেচনায় এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলাচল শুরু হবে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শুধু দিনের বেলায় চলবে বাস।
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- সৌদি আরবের ইকামা ও ভিসা নিয়ে পাওয়া নতুন খবর
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- একটা বাচ্চা ছেলেও বলবে এটা ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার
- রাজপথ দখল করতে চায় আ. লীগ, যেভাবে চলছে প্রস্তুতি