গণমাধ্যমকে বাঁধন বলেন, ‘মেয়ে, সাংসারিক ঝামেলা-মামলা ও ক্যারিয়ার সব এক হাতে সামলাতে হচ্ছে। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। মাঝেমাঝে খুব হতাশ হয়ে পড়ি। আর কতোদিন এভাবে জীবনের সঙ্গে লড়াই করতে পারবো আমি জানি না। তবে দুঃসময়ে অনেকেই আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এদিকে তার প্রাক্তন স্বামী বলছেন, ‌গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছেন না বাঁধন। দিচ্ছেন না দেখা করারও সুযোগ। সেই ক্ষোভ নিয়েই তিনি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ডিভোর্স নিয়ে। মুখ খুলেছেন বাঁধনও।

তবে বাঁধন জানালেন, একমাত্র সন্তানকে নিজের কাছে রাখার অধিকার চেয়ে গত ৩ আগস্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে বাদী হয়েছেন তিনি নিজেই।

বাঁধন বলেন, ‘মেয়ের বাবা হিসেবে প্রায় সময়ই আমার মেয়ে সায়রাকে তার বাসায় নিয়ে যায় আমার প্রাক্তন স্বামী সনেট। কিছুদিন থেকে আবার চলে আসে। সম্প্রতি সায়রা আমাকে জানিয়েছে, ওর বাবা তাকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আমি বিষয়টিতে বাঁধা দিতে গেলে সনেট বলে, প্রয়োজনে জোর করেই সে মেয়েকে কানাডায় পাঠাবে। আমি চাই না আমার একমাত্র সন্তান দেশের বাইরে থাকুক। ওর জন্য আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। তাই সায়রাকে আমার কাছে যেন রাখতে পারি সেজন্য মা হিসেবে আমার অধিকার পেতে মামলা করেছি।’

বাঁধন জানান, সায়রা বর্তমানে তার সঙ্গেই আছে। গত আগস্টে বাবার বাসায় নেওয়া হয়েছিল সায়রাকে। তিনি বললেন, ‘আমার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পরদিন উনার স্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তোমার মেয়ের ভবিষ্যত হলো কানাডায়। আর আমি যদি ভালো মা হয়ে থাকি তাহলে এটাই যেন মেনে নিই। তিনি দ্রুত সায়রা ও স্বামীকে নিয়ে কানাডা যেতে চান। সায়রা আমার মেয়ে, আমি কেন তাকে অন্য মহিলার কাছে পাঠাবো।’