তবে সাধারণ ভাবে মহরত করে এতে যে অর্থ খরচ হতো তা রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা করার অনুরোধ করেন ছবির নায়ক নিজেই। তাই গত সোমবার এ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাজ’র এ অফিসে। তবে এতেও সন্তুষ্ট নায়ক সিয়াম। আর সংশ্লিষ্টারাও সিয়ামের এমন অভিমতে খুশি। বড় পর্দায় অভিষেকের আগেই বড় মনের পরিচয় দিলেন সিয়াম। একটি জাতীয় দৈনিককে সিয়াম বলেন, ”জীবনের প্রথম সিনেমা।

তা নিয়ে অনেক স্বপ্ন। বড় পরিসরে সিনেমার মহরত হবে। আমাদের অগ্রজ নায়ক-নায়িকার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। কিন্তু দেশে যে অবস্থা, সেই সময়টাতে এতটা জাঁকজমকভাবে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠান করতে চাইনি। ভাবলাম, আমাদের এই মহরতের টাকায় নিদারুণ কষ্টে থাকা রোহিঙ্গা পরিবারের পাশে যদি একটুখানি সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো যায়, তাহলে সেটাই হবে সার্থকতা।”

সিয়াম আরো বলেন, ”আমরা হয়তো বড়সড় অনুষ্ঠান করতাম, অনেক ভালো-মন্দ খাইতাম। সবাই মিলে হইহুল্লোড় করে আড্ডা দিতাম। কী হতো? একটা বেলা না হয় সবাই ভালো-মন্দ খাওয়া বাদ দিলাম। আমাদের সেই মহরত অনুষ্ঠানের অর্থে অন্তত কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের এক দিনের ভরণপোষণ হবে। এটাই একজন মানুষ হিসেবে আমার জীবনের সার্থকতা। আমরা আসলে সবাই হয়তো নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা করি।

কিন্তু নানামাত্রিক ব্যস্ততায় হয়তো নির্যাতিত-নিপীড়িত ও কষ্টে থাকা রোহিঙ্গাদের পাশে থাকতে পারি না।”নায়কের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, ”এটা ঠিক, আমরা সব সময় সিনেমার মহরত করি অনেক বড় পরিসরে। গত সোমবার আমাদের অফিসেই করেছি। তা-ও আবার ছোট পরিসরে। কিন্তু কেন করেছি? এর জন্য ধন্যবাদ সিয়ামকে দেওয়া উচিত।

সে অনেক বড় মনের মানুষের পরিচয় দিয়েছে।”এ ছবিতে সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করবেন পূজা চেরী। পরিচালনা করবেন রায়হান রাফি। ছবির শুটিং হবে মেহেরপুর জেলায়। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৩৪ দিন শুটিং হবে। এরপর ছবির দুটি গানের শুটিং হবে সিলেটে।