কারাগার থেকে আদালতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

টাকা আত্মসাৎ ও আয়কর ফাঁকির মামলায় যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে আজ বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালতের প্রাঙ্গণ ঘিরে পুলিশের সতর্ক অবস্থান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দুই মামলায় আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে করা কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি পিছিয়েছে। আবার জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিও পিছিয়েছে। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে সাঈদীকে কারাগার থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকেই হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি রফিক উদ্দিন বলেন, এই মামলায় আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী। মামলা দুটির শুনানি শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে আবার আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট কর সার্কেল ৫১ কর অঞ্চলের তৎকালীন উপ–কর কমিশনার মাসুমা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন। জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম জানান, আসামিপক্ষ থেকে এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিপক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, জাকাতের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের তৎকালীন পরিচালক আইয়ুব আলী চৌধুরী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছাড়া মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয়জন আসামি হলেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. লুৎফুল হক, আবুল কালাম আজাদ, মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, তোফাজ্জল হোসেন ও আবদুল হক। তাঁদের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ মারা গেছেন। পলাতক আবুল কালাম আজাদ। অন্যরা জামিনে। আজ জামিনে থাকা চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেপ্তার হন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে।
পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- একটা বাচ্চা ছেলেও বলবে এটা ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- রাজপথ দখল করতে চায় আ. লীগ, যেভাবে চলছে প্রস্তুতি
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- সৌদি আরবের ইকামা ও ভিসা নিয়ে পাওয়া নতুন খবর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার