১৩টি বাঁশের সাঁকোকে ব্রিজ দেখিয়ে টেন্ডার
মোট আটটি প্যাকেজে আহবান করা এসব দরপত্রে সব উপকরণের মূল্য উল্লেখ না থাকায় কার্যত কোন ব্রিজের জন্য প্রকৃত বরাদ্দ কত তাা নির্ণয় করা কঠিন বলে বলছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।
তবে এ দরপত্র তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে জেলাজুড়ে কারণ যে ব্রিজগুলো সংস্কারের জন্য এতো টাকা ব্যয় করার চেষ্টা হচ্ছিলো সেখানে অন্তত তেরটি জায়গায় ব্রিজের কোনো অস্তিত্ব নেই।
বরগুনার ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলছেন, "আমি নিজে ঘুরে এসব জায়গার অনেকগুলোতে বাঁশের সাকো দেখেছি। ভৌতিক ব্রিজকে সংস্কারের প্রস্তাব ছিলো টেন্ডারটিতে যা আমাদেরকেই অবাক করেছে"।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলছেন, "আমার আগের প্রকৌশলীরা এগুলো এস্টিমেট (ব্যয় প্রাক্কলন) করেছে। আমি এসব সম্পর্কে জানিনা। তবে জানাজানির পর এলজিইডি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এগুলো বাতিল করা হয়েছে"।
তিনি বলেন, "ঢাকা থেকে টিম এসেছে। তারা এখন তদন্ত করছে। এর পর পুন:প্রাক্কলন হয়ে নতুন করে টেন্ডার হবে"।
কিন্তু কারা এ ধরণর ভৌতিক সেতু দেখিয়ে টেন্ডার করানোর চেষ্টা করছিলো তা নিয়ে কোনো তদন্ত হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, " এ বিষয়ে আর কিছু তার জানা নেই"।
বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর মো: হোসেন আলী মীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, "টেন্ডারটি বাতিল করা হয়েছে"।
এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য তার জানা নেই বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম মিরাজ বলছেন দরপত্রটি প্রকাশের পর তিনি কয়েকটি লোহার সেতুর যেসব জায়গা উল্লেখ করা হয়েছিলো সে রকম অন্তত চারটি ব্রিজের জায়গা নিজে পরিদর্শন করেছেন।
"নাশবুনিয়া নামে একটি খালের ওপর থাকা ব্রিজের সংস্কাররে জন্য চার কোটি টাকা রাখা হয়েছিলো। অথচ এই নামে কোনো খালেরই অস্তিত্ব নেই। অথচ এই ব্রিজের জন্যও সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছিলো," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
আমতলীর ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন আটটি প্যাকেজের প্রতিটিতে হয় ব্রিজের দৈর্ঘ্য অনেক বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, কোথাও অতিরিক্ত কাজ দেখানো হয়েছে আবার তেরটির মতো জায়গায় বাঁশের সাকোকে ব্রিজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
"অথচ প্রকল্পটি হলো ব্রিজ সংস্কার প্রকল্প। থাকলে সংস্কার হবে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুনর্নির্মাণ হবে। কিন্তু স্থাপনা অবশ্যই থাকতে হবে। অথচ এখানে অনেকগুলোই ভৌতিক," বলছিলেন তিনি।
জানা গেছে ওই দরপত্রে আমতলীয় উপজেলায় ২৬ টি আর তালতলী উপজেলায় সাতটি ব্রিজ সংস্কারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো। দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিলো ৬ই সেপ্টেম্বর যা পড়ে ১৪ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো।
কিন্তু এর মধ্যেই ঘটনাটি তুমুল ক্ষোভের জন্ম দেয় এলাকাবাসীর মধ্যে এবং পালিত হয় নানা প্রতিবাদ কর্মসূচিও।
শেষ পর্যন্ত টেন্ডারটি বাতিল করে তদন্তের কাজ শুরু করেছে এলজিইডি কিন্তু কারা এমন ভৌতিক ব্রিজের বিপরীতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজী হননি এলজিইডির বরগুনা কিংবা আমতলী কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তাই।
- আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে বিশাল পারিশ্রমিকে দল পেলেন নাহিদ রানা
- আইপিএল নিলামে দল পেল মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- ব্রেকিং নিউজ: ১০ কোটি রুপিতে দল পেলেন নাহিদ রানা, দেখেনিন সাকিব ও মুস্তাফিজের অবস্থান
- 2025 IPL নিলাম: অবিশ্বাস্যভাবে এইমাত্র শেষ হলো মুস্তাফিজের নিলাম, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত চার দলের, বাদ পড়তে পারে ব্রাজিল, দেখেনিন আর্জেন্টিনার অবস্থান
- IPL 2025 নিলাম : এইমাত্র শেষ হলো সাকিবের নিলাম
- চলছে IPL নিলাম, দেখেনিন সাকিব মুস্তাফিজের অবস্থান ও এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা
- চলছে IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মূল্যে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ, দেখেনিন নাহিদ রানার অবস্থান
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা, দেখেনিন সর্বশেষ ফলাফল
- ২০২৫ IPL নিলামে চমক দেখিয়ে রেকর্ড দামে দল পেলেন সাকিব
- IPL নিলাম ২০২৫: মুস্তাফিজ বাদ ধোনির চাওয়াতেই রেকর্ড মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব
- ব্রেকিং নিউজ : IPL নিলাম: সাকিব মুস্তাফিজ নয় ইতিহাস গড়ে রেকর্ড বিডে যে দলে রিশাদ হোসেন
- 2025 IPL নিলাম: আকাশ ছোয়া মূল্যে দল পেলেন লিটনের সতীর্থ, দেখেনিন সাকিব মুস্তাফিজের অবস্থান
- আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ৪কোটি রুপিতে যে দলে মুস্তাফিজ
- এইমাত্র পাওয়া: অনেক বড় সুখবর পেলো টাইগার স্পিনার রিশাদ আকাশ ছোয়া মূল্যে পেলো দল