অবশেষে সত্যি হলো ভয়

অধিক জোর দেওয়া হচ্ছিল স্বাস্থ্যবিধির ওপর। তবে সাধারণ মানুষ সেই পরামর্শে পাত্তা দেয়নি। প্রশাসনের জায়গা থেকেও দেখা যায়নি কার্যকর কঠোর পদক্ষেপ। ফলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার না হতেই শঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
প্রায় এক মাস ধরেই বিভিন্ন হাসপাতাল কিংবা বুথে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য কোনো ভিড় ছিল না। সেসব স্থানে আবার ভিড় জমতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও আগের মতোই ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে। সিরিয়ালের জন্য মানুষ হন্তদন্ত হয়ে ছুটছে। হন্যে হচ্ছে। এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত দুই দিনের তথ্যেও। নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও।
ওদিকে নমুনা পরীক্ষায় চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও শুরু হয়েছে ফল নিয়ে বিড়ম্বনা। আগের মতোই ফল পেতে ৮-১০ দিন সময় পার হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ নমুনা দেওয়ার এত দিন পর পজিটিভ ফল পেয়ে করণীয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে যারা এত দিন পর পজিটিভ ফল পেয়েছে, তাদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যাপারেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে না ঠিকমতো। সব মিলিয়ে আবারও নমুনা পরীক্ষা, ফল ও কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং নিয়ে শুরু হয়েছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত সাত দিনের মধ্যে প্রথম পাঁচ দিন নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার থেকে ১৩ হাজার করে। ওই পাঁচ দিনে দৈনিক পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৫৯ থেকে ১২ হাজার ৮৪৯টি। এর পরই গত সোমবারের তথ্যে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩১৭টি। গতকাল বুধবারের তথ্যে জানানো হয়েছে, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৫০টি। এর মধ্যে মঙ্গলবার পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৮২০টি নমুনা এবং গতকাল করা হয় ১৪ হাজার ৭৫১টি নমুনা।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ আগস্টের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুসারে আগের সপ্তাহের (৩১তম) তুলনায় শেষ সপ্তাহে (৩২তম) বাংলাদেশে সংক্রমণ বেড়েছে ২.৫ শতাংশ। ওই প্রতিবেদন অনুসারে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব বিভাগেই ঈদের পর থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ঘটছে রংপুরে আর সবচেয়ে কম বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে বরিশালে। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের তিন দিনের বৃদ্ধিও বেশি বলে দেখানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রেখাচিত্রে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষা বেড়েছে কোনো দাপ্তরিক সিদ্ধান্তের কারণে। আবার বিদেশগামীদের পরীক্ষার জন্যও সংখ্যাটা বেড়েছে। এ ছাড়া হাসপাতাল ও বুথে কিছু সংখ্যায় বেড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ল্যাবগুলোতে কিছু সমস্যা হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে। সেগুলো কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ে আগে থেকেই এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘ঈদের পর ঢাকায়ই দৈনিক গড়ে এক হাজারের মতো রোগী বেড়ে গেছে। আবার হাসপাতাল এবং বুথেও ভিড় বাড়ছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে। তবে আমরা আগে থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে এই অবস্থা ঠেকানো যেত। তবে এখনো সংক্রমণের গতি ধীর রয়েছে।
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ