ড. বিজন কুমার শীল বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটা যেতে বাধ্য। এই ধরনের ইনফেকশন বেশি দিন থাকে না। একটা সময় পৃথিবী থেকে চলে যায়। তাই আগামী দুই মাসের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে আসবে বলে আশা করছি।

তবে গ্রামাঞ্চলে হয়তো কিছু কিছু থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি হোস্ট (আক্রান্ত এবং অ্যান্টিবডি জন্মায়নি এমন ব্যক্তি) থাকে, তাহলে গ্রামে ভাইরাসটি কিছুটা রয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তবে করোনার এ রকম কোনো ইন্টারমিডিয়েট হোস্ট নেই, যেখানে এটা থাকতে পারে।

তিনি বলেন, মহামারি এসেছে, আবার তা চলে যাবে। পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নেবে। তবে একটু সময় লাগতে পারে। দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে খুব শিগগিরই ভাইরাসটি থেকে আমরা মুক্তি পাবো। কারণ অধিকাংশ মানুষই জানে না যে, তারা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে ফেলেছেন। মানুষের মাঝে যখন হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে, তখন করোনার পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।

হার্ড ইমিউনিটি ছাড়া মুক্তির পথ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের মাঝে হার্ড ইমিউনিটি আসতেই হবে। এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করে লাভ নেই। বরং ডা. জাফরুল্লাহ ভাইরাসটিকে যেভাবে মোকাবেলা করেছেন, সে রকম মনোবল নিয়ে সবাইকে মোকাবেলা করতে হবে। তার কাছ থেকে সবার শিক্ষা নেয়া উচিত। প্রত্যেকটা মানুষ এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের মনোবল তৈরি করলে ভাইরাসটি আমাদের কাছ থেকে চলে যাবে।