এই যেমন এখন সালমান এবং অক্ষয়, বলিউডের অন্যতম দুই সুপারস্টারের নাম জড়িয়ে গিয়েছে হানিপ্রীতের সঙ্গে। অবাক হচ্ছেন? নাহ্, এমনটাই কিন্তু শোনা যাচ্ছে। আসলে রাম রহিম নয়, এই দুজনই ছিলেন হানিপ্রীতের স্বপ্নের পুরুষ। এদের সঙ্গে ছবিতে কাজ করতে চেয়েছিল হানিপ্রীত।

রাম রহিমের কাছে দান হিসেবে কোটি কোটি টাকা আসত, খাতায় কলমে যার কোনও হিসেব ছিল না রাম রহিমের কাছে। সেই সব কালো টাকার রং সাদা করতেই রাম রহিম ছবি তৈরিতে তা খরচ করত।মুম্বাই অভিজাত এলাকায় গুরমিতের ৪টি বড় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেখানে একটি স্টুডিও তৈরি করিয়েছিল সে। অন্য আরেকটি স্টুডিও ছিল সিরসায় ডেরাতে। বলিউডের নামি-দামি টেকনিশিয়ানদের মোটা টাকার বিনিময়ে কাজের জন্য বুক করা হয়েছিল।

এখানেই শেষ নয়, বলিউডের স্বাদ পাওয়ার পর এবার হলিউডের দিকেও পা বাড়াচ্ছিল এই ভণ্ড বাবা। তার জন্য হলিউডের বেশ কিছু পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পর্বও শুরু হয়। আর এর জন্য তার আমেরিকার ডেরাটি কাজে নেমে পড়ে।এদিকে হানিপ্রীতের ইচ্ছে ছিল, বলিউডে নামিদামি অভিনেত্রী হওয়ার। ইচ্ছে ছিল বড় বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করার। আর তার এই ইচ্ছেতে টাকা ভাসিয়ে দিয়েছিল রাম রহিম। অভিনয়ে নেমে পড়েছিল নিজেও। কিন্তু নিজের বিপরীতে রাম রহিম নয়, নায়ক হিসেবে হানিপ্রীত পেতে চেয়েছিল সালমান-অক্ষয়ের মতোই তারকাদের। গুরমিত-হানিপ্রীতের ছবি তাদের অনুগামী ছাড়া আর কেউ না দেখলেও, বলা হত, এই ছবি খুবই জনপ্রিয় এবং ভালো ব্যবসাও করেছে।

ভারতের কলকাতা২৪ পত্রিকার খবরে বলা হয়, হানিপ্রীতের বলিউডের প্রতি ঝোঁক এতোটাই প্রবল ছিল যে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য হিসেবেও নিজের নাম রেজিস্টার করিয়েছিল। কিন্তু স্বপ্নের পুরুষদের সঙ্গে রুপালি পর্দায় প্রেমের ইচ্ছেটা ইচ্ছেই থেকে গেল গুরমিত সঙ্গিনী হানিপ্রীতের।