করোনা ভালো হতে পারে ৪০ পয়সার অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট

তবে এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত কেউ দিতে পারেননি। এই অবস্থায় কিছু বিজ্ঞানী মনে করছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় আশার আলো দেখাতে পারে মাত্র ৪০ পয়সা দামের অ্যান্টাসিড।
নিউইয়র্কে করোনা রোগীদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় অ্যান্টাসিড ফ্যামোসিড (Famocid) ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভালো ফল পাওয়ার দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। চীনেও ওষুধটির ট্রায়াল চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ভারত সরকারও করোনা মোকাবেলায় ওষুধটির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছে। দেশটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় ফ্যামোসিড।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, দেশটির জনৌষধি পরিযোজনা এবং ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটিকে (NPPA) এই ওষুধের গুণমান পরীক্ষা ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ফ্যামোটিডিনের উৎপাদন ও করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধের ট্রায়াল কীভাবে হতে পারে সেই বিষয়ে ইতোমধ্যেই একটি জরুরি বৈঠক করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া।
এক সরকারি কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেছেন, অন্যান্য দেশে করোনা রোগীদের ওপর ফ্যামোটিডিনের সুফল জানার পরই ওষুধটির স্টক বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, আগামী দিনে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো ফ্যামোটিডিনের চাহিদাও বেড়ে যাবে।
নানা ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় এই ওষুধটি। যেমন- ভারতে এটি ফ্যামোসিড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেপসিড নামে প্রচলিত। ভারতে এর দাম মাত্র ৪০ পয়সা। গ্যাস, চুকা ঢেঁকুরের সমস্যা সারাতে ব্যবহৃত এ ওষুধটি পেপটিক আলসার, বুকজ্বালা, পেট ব্যথা, খাদ্যনালীর ঘা বা সংক্রমণজনিত রোগ সারাতেও কাজে আসে।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যেহেতু খাদ্যনালীর রোগ, পেট ব্যথা, অম্বল ও বমিবমিভাবের মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে, তাই ফ্যামোটিডিন এক্ষেত্রে কাজ করতে পারে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের।
তারা বলেছেন, ফ্যামোটিডিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তবে তা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো মারাত্মক নয়। মাথা ব্যথা, পেট খারাপের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তবে সেটা রোগীর শারীরিক অবস্থা ও ওষুধের ডোজের ওপর নির্ভর করে।
ফ্যামোটিডিন ওষুধের সুফলের কথা প্রথম জানিয়েছিল চীন। কোভিড-১৯ এর উৎপত্তিস্থল দেশটির উহানের হাসপাতালে প্রবীণ রোগীদের চিকিৎসায় এই অ্যান্টাসিড ওষুধটি ভালো কাজ করেছে বলে জানানো হয়। এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল সায়েন্স ম্যাগাজিন জার্নালের একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়।
সেখানে চীনের চিকিৎসক ও গবেষকরা দাবি করেন, যেসব রোগীকে ফ্যামোটিডিন দেওয়া হয়েছিল তাদের মৃত্যুহার ১৪ শতাংশ। আর যাদের ওষুধটি দেওয়া হয়নি তাদের মধ্যে মৃত্যুহার ছিল প্রায় ২৭ শতাংশ।
তবে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, বিস্তারিত গবেষণার আগে ওষুধটি প্রয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না।
- কমলো জ্বালানি তেলের দাম, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- চার-ছক্কার ঝড় তুলেছে বাংলাদেশ,৩৬.৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ
- এক সেঞ্চুরীতে রানের পাহাড় গড়লো বাংলাদেশ, দিয়েছে বিশাল রানের টার্গেট
- ওবায়দুল কাদের-আসাদুজ্জামানসহ আরও ১০ জন
- টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ,দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মারীদের জন্য দারুন সুখবর
- গুরুতর ইনজুরিতে তাসকিন, নেওয়া হচ্ছে বিদেশে,শেষ হয়ে যেতে পারে ক্যারিয়ার
- মেয়েদের মন গলানোর জন্য ৫টি কার্যকরী টিপস
- ১৩ দিনের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়ছে বজ্রপাত ও কালবৈশাখীর ঝুঁকি
- কমে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট,দেখেনিন আজকের রেট
- ৪-১ গোলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ শেষ, শাস্তির মুখে আর্জেন্টিনা
- ফি/লি/স্তি/নে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন সাকিব, জানুন আসল সত্য
- বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়