ইন্ডাস্ট্রির দুই মহাতারকা দেব আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা এ মুহূর্তে তলানিতে। খবর বলছে, সমস্যা মেটাতে প্রসেনজিৎ এর বাড়িতে গিয়েছিলেন দেব। কিন্তু বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও তিনি দেখা করেননি দেবের সঙ্গে। অভিমান নাকি প্রতিযোগিতা? সেটা জানতে হলে নেপথ্যের ঘটনাগুলো খোলসা করা প্রয়োজন।

মূলত দেবের ‘ককপিট’ ছবিতে ক্যামিও (অল্প সময়ের জন্য অভিনয়) করেছেন প্রসেনজিৎ। সেই ছোট্ট দৃশ্যটাই দেব টিজারে দিয়েছিলেন। যেটা একেবারেই ভালোভাবে নেননি ইন্ডাস্ট্রির বুম্বাদা খ্যাত প্রসেনজিৎ। উল্টো দিকে তার ছবিও পূজায় মুক্তি পাচ্ছে। যতই তিনি দেবকে ছোট ভাইয়ের মতো দেখুন, এক্ষেত্রে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী তো বটেই! ‘ককপিট’ এর টিজারে প্রসেনজিৎকে দেখলে দর্শক ভাবতে পারেন তিনি ওই ছবিতে অভিনয় করছেন। প্রসেনজিৎ টুইটারে আপত্তি জানিয়ে বলেন, নিজের লাভের জন্য দর্শককে বিভ্রান্ত করার কায়দাটা তিনি পছন্দ করেননি।

দেব বোঝানোর চেষ্টা করেন, সম্মান জানাতেই প্রসেনজিৎকে টিজারে রাখা হয়েছে। যদিও প্রসেনজিতের আপত্তির জন্য এডিট করে ফের টিজার আপলোড করেন। কিন্তু তাতেও প্রসেনজিতের রাগ কমেনি। বড় দাদার মান ভাঙাতে তার বাড়িতেও যান দেব।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, এক প্রযোজককে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রসেনজিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রসেনজিৎ সেই সময় বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও দেবের সঙ্গে দেখা করেননি। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী জানান, তিনি বাড়ি নেই। অথচ প্রসেনজিৎ যে গাড়ি ব্যবহার করেন, সেটি গ্যারেজেই ছিল। দেব খানিকক্ষণ অপেক্ষাও করতে চান। তারও অনুমতি মেলেনি। অতএব দেবকে খালি হাতেই ফিরতে হয়।

দেবের ঘনিষ্ঠ একজনের মতে, পুরো বিষয়টা নিয়ে অন্য লোকজন বড্ড বেশি পানি ঘোলা করছে। দেব-প্রসেনজিৎ দু’জনের কানেই নানা রকম কথা ঢালা হচ্ছে।দেব বলেন, ‘ট্রেলারের শুরুতে আমার বাবার নাম ছিল আর শেষে বুম্বাদা। যাকে আমি গুরুর মতো মনে করি। সম্মানটা আমি দিতে চেয়েছিলাম। সেটা বোধহয় বুম্বাদা ছাড়া আর সবাইকে বোঝাতে পেরেছি।’

কিছু দিন আগেই দু’জনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ছবি দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একসঙ্গে ছবি মুক্তি পেলেও তারা মোটেই প্রতিদ্বন্দ্বী নন গোছের একটা বার্তা ছিল সেখানে। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। যদিও দেব এখনও শান্তি প্রস্তাবের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রসেনজিতের ছবির প্রশং‌সায় টুইট করেছেন। প্রসেনজিৎ অবশ্য ‘ককপিট’ এর একটা গান নিয়ে টুইট করেছেন। এখন ইন্ডাস্ট্রির বড় দাদা (প্রসেনজিৎ) কবে ছোট ভাইকে (দেব) ‘আপন’ করে নেন, সেটাই দেখার।