| ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর যা হয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২০ মার্চ ৩১ ১৫:৪০:৩৩
করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর যা হয়

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কানাডার কমিউনিটির এক নার্স। তিনি জানিয়েছেন করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর যা হয়! স্ট্যাটাসটি বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো-

যে-কোনো ভাইরাস, করোনাই শুধু নয়, কোনো জীবিত প্রাণীর শরীরের বাইরে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে এবং বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না।

করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে গিয়ে বাসা বাঁধে ও খুব দ্রুত সংখ্যায় বাড়ে। আমাদের ফুসফুস ছোট ছোট বলের মতো আকৃতির বস্তু দিয়ে (অ্যালভিওলাই) তৈরি যেগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে ও চুপসে যায়।

ফুসফুসের এই ছোট্ট বলগুলো আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করে। প্রতিবার নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেনে পূর্ণ হয় এবং বলগুলোর পাতলা পর্দা ভেদ করে সেই অক্সিজেন রক্তে প্রবেশ করে। আর রক্তে তৈরি হওয়া বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড একই পদ্ধতিতে বাইরে আসে। শরীরের প্রতিটি কোষ এই অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে।

ভাইরাসটি যদি আপনার শরীরে ঢোকে, তবে প্রথমে শ্বাসনালি ও পরে ফুসফুসে লটকে পরবে। ভাইরাসটি ফুসফুসের ছোট্ট ছোট্ট বলের মতো জায়গায় গিয়ে আরামসে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এতে ফুসফুসের বলগুলো নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।

ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর গড়ে ৫ দিন পর্যন্ত সময় নেয় ও তারপর ব্যক্তির উপসর্গ অর্থাৎ, ক্লান্তি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদির লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।

অপরপক্ষে শরীর (ইমিউন সিস্টেম) এই ভাইরাসের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে প্রাণপনে চেষ্টা করে। আমাদের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম ক্রমাগত প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি বা যোদ্ধা সেল তৈরি করতে থাকে ভাইরাসকে পরাস্ত করতে।

ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতি অপেক্ষা আপনার ইমিউন সেলের বংশবৃদ্ধির গতি বেশি হলে আপনি বেঁচে গেলেন। আর দুর্বল ইমিউন সিস্টেম হলে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি বেড়ে যাবে ও আপনার ফুসফুস ক্রমান্বয়ে পরাস্ত হতে থাকবে ভাইরাসের হাতে।

ফুসফুস পরাস্ত হতে থাকলে আস্তে আস্তে শরীরে প্রয়োজনীয় অস্কিজেনের অভাব দেখা দেয় এবং রোগী অস্কিজেনের জন্য একসময় হাঁসফাঁস করতে থাকে। পরবর্তীতে শরীরের অন্যান্য অর্গানগুলো (কিডনি, হার্ট, যকৃত, প্যানক্রিয়াস ইত্যাদি) অক্সিজেনের অভাবে একে একে অকেজো হতে শুরু করে।

নানা অসুখের কারণে আগেভাগেই কারো অর্গানগুলো দুর্বল হয়ে থাকলে, তার জন্য ভাইরাসটির আক্রমণের চাপ বহন করা কঠিন হয়ে পরে। তখন ভাইরাসটি রক্তে ছড়িয়ে পরে। এইবেলা তার জন্য হাসপাতালের সাহায্য বা কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন-এর বন্দোবস্ত করার জরুরি দরকার হয়ে পরে।

এখন পরযন্ত ভাইরাসটি দমন করার কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই নিজের ইমিউন সিস্টেমই ভরসা! সেটি শক্তিশালী হলে ভাইরাসগুলো যুদ্ধে হেরে গিয়ে মারা যাবে। জ্বর-কাশি কিছুদিন পর আপনা আপনি ভালো হয়ে যাবে, বাসায় বসেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৮০% আক্রান্ত মানুষ ঘরে বসেই ভালো হয়ে যায়, হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয় না।

সূত্র : ব্রেকিংনিউজ

ক্রিকেট

রিশাদের ঘূর্ণিতে PSL কাঁপছে, ২ ম্যাচেই ৬ উইকেট

রিশাদের ঘূর্ণিতে PSL কাঁপছে, ২ ম্যাচেই ৬ উইকেট

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫ যেন একেবারে বোলারদের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বেশি আলো ...

ক্ষেপেছে সাকিব , প্রমাণ করতে পারলে সবকিছু দিয়ে দেব: সাকিব

ক্ষেপেছে সাকিব , প্রমাণ করতে পারলে সবকিছু দিয়ে দেব: সাকিব

দেশের ক্রিকেটে আলোচিত একটি নাম সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে থাকলেও সম্প্রতি ...

ফুটবল

অবশেষে শাস্তি পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে

অবশেষে শাস্তি পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে

মারাত্মক ফাউল করেও বড় শাস্তি পাচ্ছেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের এ ফরোয়ার্ডকে মাত্র এক ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে