জুলিজার আগের স্বামী মো. আজগর আলী জানান, জুলিজার সাথে আমার ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয়। সে আসার সময় প্রায় ২ লক্ষ টাকা (বাংলাদেশ) নিয়ে আসেন। গত ৪ দিন আগে আমি ব্যবসায়িক কারণে বাসার বাহিরে থাকলে জুলিজা বাংলাদেশে চলে আসে। জুলিজার সর্বশেষ সন্তানের বয়স এক বছর।

ছয় মাস আগে মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মনিরুলের। এরপর তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। একপর্যায়ে জুলিজা শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলে আসেন। ওইদিন বিকালেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মনিরুলের বয়স কম হওয়ায় রাতে স্থানীয় মৌলভী দ্বারা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মামার বাসায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।

দ্বিতীয় স্বামী মনিরুলের সঙ্গেএনিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রপত্রিকায় খবরও প্রকাশ হয়। সমস্যা শুরু হয় এরপর থেকেই। জুলিজার পূর্বের স্বামী মো. আজগর আলীর নজরে আসে ওই প্রতিবেদন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলিজার চার সন্তানসহ তাদের পারিবারিক একটি গ্রুপ ছবি ও কাবিননামাসহ বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পাঠান।

এদিকে, এখবর চাউর হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন নতুন স্বামী মনিরুলসহ ওই তরুণী।

মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, মনিরুল বউমাকে নিয়ে সকাল থেকে কোথায় আছে বলতে পারি না। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।