`উনি আমাদের সবাইকে বিশাল এক লজ্জায় ফেলে দিলেন’

মৃ’ত্যু’র পূর্বে তিনি চেয়েছিলেন- এই দেশের কোনো মান’বত’বাদী ডাক্তার যেন গ্রামে এসে তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই হাসপা’তালের হাল ধরে। কিন্তু হানিফ সংকেতের ইত্যাদিতে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুসারে – এ দেশের একজন ডাক্তারও তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
দেশের কেউ সাড়া না দিলেও তাঁর আহ্বানে সূদর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন- আরেক মানবতাবাদী ডাক্তার দম্পতি জেসিন এবং মেরিন্ডি। যে দেশে যাওয়ার জন্য দুনিয়ার সবাই পাগল। শুধু নিজেরা যে এসেছেন তা না। নিজেদের সন্তানদেরও সাথে করে নিয়ে এসেছেন। ভর্তি করে দিয়েছেন গ্রামেরই স্কুলে। গ্রামের শিশুদের সাথে খেলছে । ডাক্তার জেসিন কী সুন্দর করে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
আমরা সুযোগ পেলেই গ্রাম থেকে শহরে ছুটি। শহর থেকে বিদেশ পাড়ি দেই। শিশু জন্মের পর থেকেই চিন্তা থাকে কত দ্রুত সন্তানকে আধুনিক মিডিয়াম ইংরেজি স্কুলে বাচ্চাকে পড়াবো। লুঙ্গি পরাতো আমাদের রুচির সাথে আজ বড়ই বেমানান। লুঙ্গি পরতে পারিনা বলতে পারলে- আমাদের আভিজাত্যের পারদ শুধু একটুকু না অনেকটুকুই বাড়ে। বনানী গুলশান পশ এলাকায়তো একবার লুঙ্গি পরাই নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলো। কারণ- ওরা জানেনা- ওদের প্লেটে যে খাবার যায়- তা এদেশের লুঙ্গি গামছা পরা কৃষকরাই তোলে দেয়।
শিশুরা কত সুন্দর করে ইংরেজি বলতে পারে- বাবা মায়ের গর্বের শেষ নেই। একটা কবিতা তো আছে-সম্ভবত এরকম যেন লাইনগুলো-বাবা-মা খুব অহঙ্কার করে সন্তানদের নিয়ে বলছেন “জানেন মশাই, ওদের বাংলাটা ঠিক আসেনা”।
একবার বিদেশ পাড়ি জমাতে পারলেই – আমরা মাটি কামড় দিয়ে পড়ে থাকি। কোনো একটা লেখায় পড়লাম- বিদেশের এক শিক্ষক বাংলাদেশের এক অধ্যাপককে বলছেন- আপনাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়ালেখা করে কি দেশে ফিরে যায়?
উনি লজ্জায় বললেন- বেশীর ভাগই যায় না।
অবাক হয়ে বিদেশী অধ্যাপক বললেন- যায়না কী বলেন। এটাতো ভারী অন্যায়। কারণ- জনগণের ট্যাক্সের টাকা সরকার তাদের শিক্ষার পিছনে ইনভেস্ট করলো। আর ভোগ করলো অন্য একটা দেশ।
অধ্যাপক বললেন ওদের কে দোষ দিয়েও লাভ নেই। কারণ- দেশে এসে উচিত কথা বলতে চাইলে ঘটে পদে পদে দূর্গতি। যেমন- উচিত কথা বলায় সম্প্রতি দারণ এক দূর্গতির শিকার হয়েছেন ঢাবি’র অর্থনীতির এক অধ্যাপক। কোর্ট থেকে রায় পেয়েও শরণার্থীর মতো নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন- ক্লাস নিতে পারছেন না।
দেশপ্রেম মাটি, মমতা, মানুষ ইত্যাদি নিয়ে আমরা কত কথাই বলি। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি- জাতীয় সংগীত। সোনার বাংলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা কত বেশি- তা একবার ইউরোপ আমেরিকার এ্যাম্বেসীর সামনে দেখা গেলেই বুঝা যায়। কাকডাকা ভোর থেকেই বিদেশের স্বপ্নের আশায় মানুষের লাইন।
দেশপ্রেম নিয় কত কথা আমি নিজেও তো কম বলিনা। কিন্তু বিদেশেই তো পড়ে আছি।
ইত্যাদির প্রতিবেদনটা দেখলাম। ডাঃ জেসন এবং মেরিণ্ডা দম্পত্তি আমাদের এক বিশাল লজ্জায় ফেলে দিলেন।
কেউ যদি গতকাল না দেখে থাকেন, দেখার আমন্ত্রণ রইলো। গ্রামকে ভালোবাসুন, গ্রামের মানুষকে ভালোবাসতে চেষ্টা করুন। এক আমেরিকার সিটিজেন ডাক্তারের পক্ষে যদি সম্ভব হয়, তবে আমি-আপনি নই কেন???? লেখা: সংগৃহীত
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ