ভাড়ায় আনা দুটি বিমানই বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ। পাঁচ বছরের চুক্তিতে বোয়িং দুটি ইজিপ্ট এয়ার থেকে লিজ নেয় বিমান। ২০১৪ সালের মার্চে ও মে মাসে বোয়িং দুটি বিমানের বহরে যুক্ত হয়।

এরপর এক বছর ফ্লাইট পরিচালনা করার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর আবার সেই ইজিপ্ট এয়ার থেকেই একটি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হয়। দেড় বছরের মাথায় সেটিও নষ্ট হয়ে গেলে আবারও ইজিপ্ট এয়ার থেকে একটি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হয়। শেষমেশ গত ডিসেম্বরে নষ্ট হয়ে যায় ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনটিও।

তারপর নষ্ট ইঞ্জিন মেরামত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় বিমান। কিন্তু মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানকে কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে দেয়ায় তারা গত আট মাস ধরে ইঞ্জিন সরবরাহ করেনি। ফলে বর্তমানে একইসাথে লিজ নেয়া প্রতিষ্ঠান ও মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান উভয়কেই অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে বিমানকে।

গত ডিসেম্বর থেকে বোয়িংটি অচল হয়ে পড়ে থাকায় এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইজিপ্ট এয়ারের সাথে লিজের শর্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত আরও ২৮ মাস বোয়িংটিকে বসিয়ে রাখতে হলে মাসিক প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হিসেবে আরও ১৪০ কোটি টাকা গুনতে হবে বিমানকে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ জানান, ষাট দিনের মধ্যে ইঞ্জিন ডেলিভারি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু টেকনিক্যাল কারণে সেটা আট মাসেও পাইনি। তবে চলতি মাসের ২৩-২৪ তারিখে ইঞ্জিন দুটি পাওয়ার আশা করছি।

ইজিপ্ট এয়ার থেকে নিম্নমানের উড়োজাহাজ লিজ আনা প্রসঙ্গে মোসাদ্দিক আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, তদন্ত চলছে। তবে তদন্তে লিজ চুক্তির সব শর্তই বিমানের স্বার্থপরিপন্থী ছিলো বলে প্রমাণ পেয়েছে কমিটি।