‘হুকুম দেন, আমি এখন মরলে কোনো অসুবিধা নেই’

শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ফারুক বলেন, ‘একটা কথা আছে-কসাই মরে, জবাই মরে না। শহীদ জিয়াকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ মরে নাই। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত আজকে আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা, নিপুণ আমার মতো নগণ্য কর্মী এবং এই বৃদ্ধ বয়সে মামলায় যিনি জর্জরিত বেগম খালেদা জিয়া।’
তিনি বলেন, ‘(আন্দোলনে) তৃণমূল প্রস্তুত, প্রস্তুত কে না? তারা প্রস্তুত না? যখন বেগম জিয়ার গাড়ি গুলশান থেকে রওনা দেয়, তখন হাজার হাজার মানুষ নেতৃত্ব দিয়েছেন মাকে জেলে যেতে দেব না। এই স্লোগানে ঢাকার শহর মুখরিত হয়েছিল। ২০ মাস হলো আরও কতদিন হবে আমি জানি না। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার কোনো গুণ নেই। আমি কোনো গুণান্বিত নয়। কিন্তু আমি একজন সাচ্চা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মী। আমি আজকে প্রশ্ন রাখতে চাই যে, প্রস্তুত কারা না? প্রস্তুত তো তৃণমূল। কয় ঢাকার শহরে কোনো অবদান নেই। আমি বিশ্বাস করি না।’
বিএনপির বর্ষীয়ান এই নেতা আরও বলেন, ‘ঢাকার শহরে মিটিংয়ে যখন পুলিশ বাধা দেয়, তখন কত লোকের সমাগম হয়। কে বলে ঢাকার শহরে লোক নামে না। তাহলে প্রস্তুত কে না? এই প্রশ্ন রেখে তৃণমূল নেতারা আমাদের জিজ্ঞেস করে। সেটার উত্তর দেবার শক্তি আমার নেই।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ করে ফারুক বলেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ ভাই, আমি আপনাকে অনেকদিন চিনি। আমার বাবা আপনার বাবার ছাত্র। আমার বাড়ি থেকে আপনার বাড়ি মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। আজকে মাকে (বেগম খালেদা জিয়া) মুক্তি করার জন্য আপনিও বলেন, আইনের পথে হবে না। আমার নেতারা বলেন, যেটা শুনি টেলিভিশনের মাধ্যম। তাহলে কীসে হবে? হবে একটা আন্দোলন। সেই আন্দোলনের কথা তো ওবায়দুল কাদের বলেন, যিনি আপনাকে ঘর থেকে বের হতে দেন নাই। উনি তো বলেন যে, বিএনপির কোন হেডাম নেই। বিএনপি আন্দোলন করার কোনো প্রক্রিয়া জানে না। মাঠে নামেন, আন্দোলন করেন, জামিন পেয়ে যাবেন। আমারও ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে প্রশ্ন, আমরা রাস্তায় নামি না কেন?’
ফারুক বলেন, ‘সবাই বলেন আমরা মুক্ত করব। মুক্ত করবার জন্য সবাই প্রস্তুত। ছাত্রদল বলেন, যুবদল বলেন আন্দোলনের জন্য সবাই প্রস্তুত। সে উদ্যোগটা কখন নেয়া হবে? হুকুম দেন, মরিনি, আমি এখন মরলে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ আমার পাবার কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নেতা মওদুদ ভাইয়ের কাছে বলব যে, আন্দোলন কর্মসূচি দেন। দেবেন দেবেন বলে মাস চলে যাচ্ছে, খালেদা জিয়ার কষ্ট হচ্ছে। আর কত কষ্ট করবে? আসুন না রাস্তায় নামি। সবাই প্রস্তুত তবে আন্দোলন নয় কেন?’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় প্রমুখ বক্তৃতা করেন।সুত্র:জাগোনিউজ
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- একটা বাচ্চা ছেলেও বলবে এটা ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- রাজপথ দখল করতে চায় আ. লীগ, যেভাবে চলছে প্রস্তুতি
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- সৌদি আরবের ইকামা ও ভিসা নিয়ে পাওয়া নতুন খবর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার