| ঢাকা, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

২০১১ নয় ২০০৫ নম্বর রুমে মারা যান আবরার, হত্যায় জড়িত ২২ জন

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ অক্টোবর ১০ ১৩:১৪:৩১
২০১১ নয় ২০০৫ নম্বর রুমে মারা যান আবরার, হত্যায় জড়িত ২২ জন

সূত্র জানায়, বুয়েট শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে অন্তিম, রাফি, মিজান ও আবরার থাকতেন। জেমি নামে এক শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে বড়ভাইয়েরা ডাকছে বলে ডেকে নিয়ে যান। সঙ্গে তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে যান। সেখানে প্রথম দফা পেটানোর পর জেমি ১০১১ নম্বর কক্ষে গিয়ে আবরারের শার্ট নিয়ে আসে। এরপর তাকে কয়েকজন মিলে চ্যাংদোলা করে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কয়েকদফা পেটানো হয়।

আবরার হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রিমান্ডে আলাদাভাবে জানিয়েছেন, আবরারকে পেটানোর সময় কেউ মুখ চেপে ধরেন, কেউ হাত ধরেন আবার কেউ পা চেপে ধরেন। মুখ চেপে ধরার কারণে আবরার মারধরের সময় চিৎকার করতে পারেননি। আবরার যখন হাত দিয়ে মারধর আটকাতে গেছেন তখন সেই হাতেই স্টাম্প দিয়ে বেশি করে পিটিয়েছি। এ সময় পা নাড়াচাড়া করলে পা দিয়েও মেরেছে। এক পর্যায়ে আবরারের হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।

২০১১ নম্বর কক্ষে প্রথমদফায় মারধরের পর আবরারকে নিয়ে যাওয়া হয় ২০০৫ নম্বর কক্ষে। এরপর সেখানে তাকে কোমরে বেদমভাবে পেটানো হয়। তখন আবরার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পা ধরতে চেয়েছিল। জীবন ভিক্ষা চেয়েছিল। বলেছিল, ‘আর মেরো না, আমি মারা যাচ্ছি, তোমরা আমাকে একটু পানি খেতে দাও।’ তারা আবরারকে পানিও খেতে দেয়নি। এ সময় আবরারের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কথা বলতে পারে না। কালেমা পড়তে পড়তে তাদের কথা থেমে যায়। এরপর তাকে কয়েকজন মিলে প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মাঝখানে রেখে দেয়। সেখানে রাত ৩টার দিকে হলের চিকিৎসককে ডেকে আনা হলে তিনি জানান, আবরার মারা গেছেন।

ভিডিওর বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কয়েকজন হল প্রভোস্ট মোহাম্মদ জাফর ইকবাল খানকে ডেকে আনেন। তিনি আবরারকে বিছানা চাদর দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন। আবরার মারা গেছে চিকিৎসক জানানোর পর প্রভোস্ট চাদর তুলে হাত ও পায়ে পেটানোর দাগ দেখেন। এরপর তিনি আবরারের মৃতদেহ ডাইনিংয়ে নিয়ে রাখেন। সকাল ৬টার দিকে পুলিশকে জানানো হয়।

চকবাজার থানার পুলিশের একজন এসআই বলেন, ‘শিবির ধরা হয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে মর্মে থানায় ফোন করা হলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য শেরে বাংলা হলে যান। কিন্তু সেখানে গেলে ছাত্রলীগের ছেলেরা ঢুকতে দেয়নি। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে বললে, মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিতে দেয়।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, আবরার হত্যার ঘটনায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ২২ জনকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও মামলার এজাহারে ১৯ জনের নাম এসেছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আসামি কমবেশি হতে পারে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার সবাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবরার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আরও কারা জড়িত ছিল তা বের করতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।

সুত্র:সারাবাংলা

ক্রিকেট

নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ

নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ

নাটকীয়ভাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ! ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সমীকরণ যত কঠিন ছিল, ব্যাট হাতে সেটার নমুনা ...

চলে যাওয়ার আগেদেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস

চলে যাওয়ার আগেদেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস

জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছিলেন ইমরুল কায়েস। ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে