বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরারের মামাতো ভাবি তমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ করে আবরারের পরিবার। তাকে কুমারখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর বাধার মুখে ভিসির গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর গ্রামবাসীর ওপর পুলিশ হামলা করে। সে সময় পুলিশ লাঠিচার্জে আবরারের ভাবি আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এরপর কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন গ্রামবাসী।

আবরার ফাহাদের ভাবী ও ছোট ভাই আরবার ফায়াজকে মারধর করা প্রসঙ্গে আবরারের ছোটভাই ফায়াজ বলেন, ‘আজ এখানে আমার ভাবি ছিলেন, তাঁকেও পুলিশ দিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে। তাঁর কাপড়-চোপড় টেনে তাঁর শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ?

আবরারের নিকটাত্মীয় তমা খাতুন বলেন, ‘আবরারকে যেভাবে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে, আমাদেরও সেভাবে আজ গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে আবরারের গ্রামে। আবরারের এক ভাবিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। তাঁর গায়ের কাপড়চোপড়, ওড়না পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজ ভিসি সাহেব আসলেন, উনার একটা জীবন রক্ষার জন্য প্রশাসনের এত রক্ষক আসলো। আর আমাদের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের জীবন রক্ষার জন্য কয়টা রক্ষক আছে?’