খালেদাকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে আসার আহ্বান
বুধবার বিকেলে দলের চার সংসদ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে দেখতে এসে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানায়। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এই মুহূর্তে বেগম জিয়াকে দেখেন তাহলে তার মায়া হবে। মানবিকভাবেই তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় বিবেচনায় নেবেন।
বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজের নেতৃত্বে মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান এবং রুমিন ফারহানা চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা খালেদার পাশে অবস্থান করেন তারা।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাতজন সংসদ সদস্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী কাছে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজে একবার আসুন, আপনি দেখে যান আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে। আমরা নিশ্চিত আপনার মানবিক বোধ জাগ্রত হবে। আমরা নিশ্চিত আপনার মায়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেত্রী রাজনৈতিক বন্দি। রাজনৈতিক সদিচ্ছা সিদ্ধান্ত দরকার তার জামিনের জন্য। আপনি প্রধানমন্ত্রী আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় দয়া করে সিদ্ধান্ত দেন। জামিনের ব্যবস্থা করে দিন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না।
আমরা ম্যাডামকে দেখতে আসছিলাম, আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) কাছে আমাদের অনুরোধ ম্যাডামের জামিনের ব্যবস্থা করে দেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যাপার, আপনি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানবিক দিকের কথা বলছেন? জবাবে সিরাজ বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কি জামিন হবে? আজকে আমাদের হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট বিব্রত বোধ করেন তার জামিনের বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছাড়া আসলে ম্যাডামের জামিন হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে সিরাজ বলেন, ম্যাডাম অবশ্যই মুক্তি চান, তিনি বিশ্বাস করেন তিনি কোনো অপরাধ করেননি। চিকিৎসার ব্যাপারে ম্যাডামের বক্তব্য হলো- তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে বিদেশি ডাক্তার প্রয়োজন হলে যাবেন। সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নয়, সেটা ম্যাডামের নিজস্ব সিদ্ধান্ত হতে হবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত হতে হবে। আগে তার মুক্তি দরকার।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কি না জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। ম্যাডামের বক্তব্য হলো আমার চিকিৎসা হচ্ছে না। ম্যাডাম সহসা বিদেশে চিকিৎসা নিতে চান না। বিদেশে লাগলে তিনি যাবেন।
চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে কোনো নেগোসিয়শন হচ্ছে কি না-এমন কোনো বার্তা নিয়ে আপনারা আসছেন কিনা জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, ‘না’।
দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আপানরা (এমপিরা) আসলেন কেন? এমন প্রশ্নে বললেন, চারজনের বেশি দেখা করার নিয়ম নেই।
এ সময় ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহামুদুল হাসান বাপ্পীসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র : জাগোনিউজ24
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার
- ঝটিকা মিছিল, পরিকল্পনা হাসিনার, তদারকিতে পলাতক কয়েকজন নেতা