সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক ক্যাসিনো মালিক ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীম গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টেন্ডার পেতে চলচ্চিত্রের নায়িকাদের ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন। এরপর থেকেই শুরু হয় চলচ্চিত্র পাড়ায় নতুন করে আলোচনা।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনো মালিক ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীম গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তার সাথে ৫০জন মডেল-নায়িকার ওঠা-বসা ছিল।

নিজের মনোরঞ্জন থেকে শুরু করে টেন্ডার বাগিয়ে নিতে বিভিন্ন নায়িকাদের ব্যবহার করতেন শামীম। উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তার নিয়মিত আবদার ছিল, শুধু টাকা দিলেই হবে না, চাই উঠতি বয়সের নায়িকার সঙ্গ। কর্মকর্তাদের কাছে দীর্ঘ তালিকা পাঠাতেন শামীম। ছবিসহ সেই তালিকা দেখেই বাছাই করে নিতেন মডেল, নায়িকাদের।

চলচ্চিত্রে পাড়ায় বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন পূর্বপশ্চিমের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, দেখুন একজন শিল্পী হওয়া সাধনার ব্যাপার। গতকাল থেকে আপনাদের মতো আমিও বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদটি পড়েছি। সেখানে কোনও শিল্পীর নাম সরাসরি বলা হয়নি। সুতরাং এ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয় তখন সেটা ভিন্ন ব্যাপার।

এদিকে জি কে শামীমের সাথে বার বারই আসছে নায়িকা মিষ্টি জান্নাতের নাম। বিষয়টি নিয়ে পূর্বপশ্চিমের সঙ্গে মিষ্টি জান্নাতের কথা হলে তিনি বলেন, আসলে আমি বুঝতে পারছি না আমাকে এইসবের মাঝে কেন জড়ালো হলো? যার কথা বলা হচ্ছে মানে জি কে শামীম তারে সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো দূরের কথা তার নাম আমি প্রথম শুনেছি যে দিন তাকে আটক করা হলো। যারা এসব রটিয়ে রেড়াচ্ছে আমি বলবো তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছে।এসব না এসব রটিয়ে দয়া করে ভিডিওসহ প্রমাণ দিন। আর যদি না দিতে পারেন তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

নায়িকা মিষ্টি জান্নাতের পাশাপাশি আরও শোনা যাচ্ছে বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী রত্না, রাহা তানহা খান ও শিরিন শীলার নামও।