কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি হয়েছে, যোগদান করতে এসে দেখলেন সব ভুয়া
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সোহাইব ফারাজী ও তার মামা আসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ভবনের অভ্যর্থনা কক্ষে। এসেই সেখানে দায়িত্বরত কর্মীদের কাছে বলেন, মতিঝিল শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল কুদ্দুসের কাছে যাবেন। দায়িত্বরত কর্মীরা বলেন, ‘এ নামে কেউ নেই। আগেও ছিল না।’ তখন হাসিমাখা চেহারায় হঠাৎ হতাশার ছাপ পড়ল।
এবার মামা বললেন, ‘স্যার, একটু ভালো করে দেখেন। আমা’র ভাগিনা আজকে চাকরিতে জয়েন্ট করবে। আমাদের সে (ভু’য়া আব্দুল কুদ্দুস) আসতে বলেছে।’ তখন দায়িত্বরত কর্মীরা তার কাছে কোনো কাগজ আছে কি না জানতে চাইলে খামের ভেতর থেকে নিয়োগপত্রসহ কয়েকটি কাগজ দেখান। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন ফরাজী।
প্রতারিত হওয়া ফরাজী বলেন, চাকরি দেয়ার কথা বলে আমা’র গ্রামের ইম’রান নামের একজন আব্দুল কুদ্দুস কাছে নিয়ে যান। তারা গ্রামের বিভিন্ন লোককে টাকার বিনিময় চাকরি দিয়ে থাকে। তারা আমা’র ইন্টারভিউ নেন। এরপর চাকরি দেবে বলে আমা’র কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চান। এরপর টাকা দিই। টাকার বিনিময় তারা আমাকে এই নিয়োগপত্র দেন। বলেন, ‘২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগপত্র নিয়ে গেলেই চাকরি হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (প্রতারক চক্র) জানায়, নিয়োগের পর তিন মাস ট্রেনিং হবে। ট্রেনিংয়ের সময় বেতন দেয়া হবে ১৬ হাজার টাকা। এরপর প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা বেতন দেবে। আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে দেখি নিয়োগপত্রসহ সব কিছুই ভুয়া।’
ফরাজী বলেন, ‘আমা’র পরিবার অনেক ক’ষ্ট করে ঋণ করে দুই লাখ টাকা দিয়েছে তাদের। সমস্যায় পড়ে গেলাম। এখন চাকরি তো হলোই না উল্টো ঋণ পরিশোধ করতে হবে।’
ফরাজীর মামা বলেন, কাগজ দেখে আমা’রও সন্দেহ হয়েছিল। তবে প্রতারক চক্র আমাদের বোকা বানিয়েছে। তারা কত ট্যালেন্ট তারা পু’লিশ ভেরিফিকেশনও নকল করেছে। এরা গ্রামের সহ’জ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে চাকরির লো’ভ দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাদের ধ’রার কি কেউ নেই বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মক’র্তা জানান, তার নিয়োগপত্র দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা ভু’য়া। বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো নিয়োগ দিলে তা সার্কুলারের মাধ্যমে জানানো হয়। এ ছাড়া নিয়োগ বি’জ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিস সহকারী, পিয়ন পদে লোক নেয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি কোনো বি’জ্ঞপ্তিও দেয়া হয়নি। এর মানে প্রতারক চক্র লোকটিকে বোকা বানিয়েছে।
‘কিছু প্রতারক চক্র সব সময় সক্রিয়। তারা গ্রামের সহ’জ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মানুষ একটু সচেতন হলে এসব প্রতারক চক্রের কাছ থেকে রক্ষা পায়। যেমন- এখন সব ধরনের সরকারি চাকরি বি’জ্ঞপ্তির মাধ্যমে হয়। এ ছাড়া একটু যাচাই-বাছাই করলেই কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা বোঝা যায়’, বলেন এই ব্যাংক কর্মক’র্তা।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মক’র্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ০১৬৩৬২৬৬৫৮৩ নম্বরে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সূত্র : জাগোনিউজ২৪
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- স্বর্ণের দাম নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী
- চরম দু:সংবাদ : ফেরত পাঠানো হল ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশিকে
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড