| ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

মাশরাফি আমা'র বাড়িতে, ভাবতামও পাইতাছি না : টুনির বাবা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ আগস্ট ২৫ ১৫:১৭:৪২
মাশরাফি আমা'র বাড়িতে, ভাবতামও পাইতাছি না : টুনির বাবা

এ নিয়ে এলাকায় হুলুস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এদিকে নালিতাবাড়ী উপজে'লার পূর্ব যোগানিয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ আলী। তিন মেয়েকে নিয়ে একসময় রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করতেন। মিরপুরের একটি হাউজিং অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

আর একই অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ক্রিকেটার মাশরাফি। এক সময় আক্কাছ আলীর বড় ও মেজ মেয়ে মাশরাফির বাসায় গৃহপরিচারিকা ছিলেন। ছোট মেয়ে টুনি তিন বছর ধরে মাশরাফির বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে আছে।

এদিকে আক্কাছ আলীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফির সঙ্গে এই পরিবারের দীর্ঘ দিনের স'ম্পর্ক। আক্কাছের দুই মেয়ের বিয়ের খরচ দিয়েছেন মাশরাফি। সেই সূত্রে টুনি তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মাশরাফি পরিবারের কাছে আবদার করত প্রায়ই। সেই আবদার সপরিবারে রক্ষা করলেন মাশরাফি।

শুক্রবার দুপুরে সপরিবারে পূর্ব যোগানিয়া গ্রামে যান মাশরাফি। তাদের ভাত, পটল ভাজা, মাছ, মুরগির মাংস ও গরুর মাংস খাওয়ানো হয়। সঙ্গে ছিল দই ও মিষ্টি। মাশরাফি ফিরে যাওয়ার পর আক্কাছ আলী বলেন, ‘মাশরাফি আমা'র বাড়িতে, ভাবতামও পাইতাছি না।’

যে কারণে লোকজনের ভিড় সামলাতে মাত্র আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর মাশরাফিকে শেরপুর ত্যাগ করতে হয়। যোগানিয়ার সেই অজপাড়াগাঁয়ে মাশরাফিকে দেখতে ছুটে যাওয়াদের মধ্যে ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজে'লা চেয়ারম্যান মো. মুকছেদুর রহমান লেবুও।

তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন ম'র্তুজা এমপি’র আচরণ ও ব্যবহারে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, ভাবা যায়- বাসার কাজের মেয়ে এবং সাবেক নিরাপত্তা কর্মীকে খুশি করতে তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে মাশরাফির মতো এমন একজন সেলিব্রেটি মানুষ এমন অজপাড়াগাঁয়ে সস্ত্রী'ক এসেছেন।

টুনির বাবা আক্কাছ আলী ক্রিকেট তারকা মাশরাফির বাসার নিরাপত্তা কর্মী থেকে বিদায় নিলেও তার পরিবারের প্রতি মাশরাফির রয়েছে দারুণ মমতা এবং নানা সহযোগিতা। তিনি আক্কাছ আলীকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন, তাদের মাথাগোজার জন্য গ্রামের বাড়িতে একটি হাফবিল্ডিং টিনশেড ঘর করে দিয়েছেন।

সর্বোপরি মাশরাফি টুনির ভবিষ্যত দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এখানে না এলে বিষয়টি আম'রা জানতেই পারতাম না। সত্যিই ‘ম্যাস দ্যা রিয়েল ক্যাপ্টেন, স্যালুট হিম।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের কোরবানির ঈদ মাশরাফির বাসাতে কাটলেও ঈদের পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসার ইচ্ছে ছিল টুনির। আর তাই সেই ইচ্ছা পূরণে কেবল টুনিকে পাঠানো নয়, নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে তার সঙ্গে গোটা পরিবারের লোকজন নিয়েই টুনির বাবার গ্রামের বাড়ি নালিতাবাড়ীর নিভৃত পল্লীতে হঠাৎ করেই চলে আসেন মাশরাফি।

শুক্রবার সকালে বাসা থেকে বের হলেও জুমা'র নামাজ পথেই আদায় করতে হয়। জুমা'র নামাজ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পরই হঠাৎ দু’টি গাড়ি নিয়ে টুনিদের বাড়িতে হাজির হন টুনিসহ মাশরাফির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আমিন সিফাত জানান, রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি হাউজিং এপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োজিত থাকায় আক্কাছ আলীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই এপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন ম'র্তুজার।

ওই পরিচয়ের সূত্রে প্রায় ৮ বছর পূর্বে হতদরিদ্র আক্কাছ আলীর মেয়ে টুনিকে তার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে নেন মাশরাফি বিন ম'র্তুজা। বয়স আর শারীরিক অ'সুস্থতার কারণে আক্কাছ আলী ওই এপার্টমেন্ট থেকে বিদায় নিলেও মাশরাফির বাসাতেই রয়ে গেছেন তার মেয়ে টুনি।

দীর্ঘ ৮ বছর সময়কালে মাশরাফির স্ত্রী' ও দুই সন্তানের সঙ্গে টুনির গড়ে উঠেছে নিবিড় স'ম্পর্ক। মাশরাফি ও তার পরিবারও টুনিকে এখন তাদের পরিবারের একজন মনে করেন এবং সেভাবেই তার প্রতিপালন করে আসছেন, সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, ক্রিকেট অধিনায়ক মাশরাফির আগমনের বিষয়টি আশেপাশের লোকজন জানতেন না। টুনির বাবা-মা বিষয়টি জানলেও তারা মাশরাফিদের আগমনের বিষয়ে কাউকেই কিছু জানাননি। তবে তারা মাশরাফিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।

কিন্তু নালিতাবাড়ীর যোগানিয়া কাচারি ম'সজিদ সংলগ্ন টুনিদের সেই বাড়িতে পৌঁছার পর ঘুরে-ফিরে বাড়ির চারপাশের প্রকৃতিকে এক পলক দেখে নাস্তা পর্ব শুরু করতেই এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে হুলস্থুল শুরু হয়। মাশরাফির আগমনের খবরে ওই বাড়িতে শুরু হয়ে যায় মানুষের ভিড়।

মাশরাফি ভক্ত-সম'র্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ টুনিদের বাড়িতে ভিড় করতে থাকে। ভক্তরা মাশরাফির সঙ্গে সেলফি তুলতে ও তার অটোগ্রাফ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে মাশরাফিকে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে যান নালিতাবাড়ী উপজে'লা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও সে বাড়িতে হাজির হন।

এদিকে, মাশরাফি ভক্ত জনতার ভিড় এবং উৎকট গরমের কারণে দ্রুতই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাশরাফিকে গাড়িতে উঠতে হয়। ফলে আগমনের প্রায় আড়াই ঘণ্টার মাথায়ই বিদায় নিতে হয় ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফিকে।

ক্রিকেট

নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ

নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ

নাটকীয়ভাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ! ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সমীকরণ যত কঠিন ছিল, ব্যাট হাতে সেটার নমুনা ...

তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড

তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে