| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

বাংলাদেশে সব প্রাথমিক স্কুলে একবেলা খাবার

২০১৯ আগস্ট ১৯ ১৮:১৯:৩২
বাংলাদেশে সব প্রাথমিক স্কুলে একবেলা খাবার

সোমবার (১৯ আগস্ট) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ নীতিমালার খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নিয়মিত এই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। ব্রিফিংয়ে নীতিমালার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া রোধে সরকার ২০০১ সালে স্কুলে স্কুলে খাবার সরবাহের কর্মসূচি হাতে নেয়। সেই উদ্যোগ সফল হওয়ায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে চরাঞ্চল ও দুর্গম এলাকায় এই প্রকল্প শুরু করা হবে।

জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা অনুযায়ী, এই কর্মসূচির আওতায় ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দৈনিক চাহিদার ৩০ শতাংশ ক্যালরি পূরণের উপযোগী খাবার সরবরাহ করা হবে। এতে স্কুল মিলের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি খরচ হবে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। এর মধ্যে বিস্কুটের জন্য খরচ করা হবে ৯ টাকা। আর রান্না করা খাবারে খরচ হবে ১৬ থেকে ১৮ টাকা। বিস্কুট-কলা-ডিম দিলে খরচ হবে ২৫ টাকা।

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই খাবার সরবরাহ ও দেখভালের জন্য জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ থাকবে, একটি উপদেষ্টা কমিটিও থাকবে। পাশাপাশি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল মিল বাস্তবায়নের জন্য থাকবে পরিচালনা কমিটি। এই কাজে শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও যুক্ত থাকবেন।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা (উন্নয়ন) বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ১০৪টি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়। যেসব স্কুলে এই কর্মসূচি চলছে, সেখানে শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে।

সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই নতুন এই কার্যক্রম শুরু করা হবে জানিয়ে গিয়াস উদ্দীন আহমেদ বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা দুপরে রান্না করা পুষ্টিকর খাবার পাবে। তিনি আরও বলেন, এলাকা অনুযায়ী খাবার ভিন্নও হতে পারে। আবার প্রতিদিনই একই খাবার দেওয়া হবে না, খাবারে বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করা হবে।

অতিরিক্ত এই সচিব জানান, বর্তমানে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৬ হাজার, শিক্ষার্থী সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ। বর্তমানে ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৩৪৯টি বিদ্যালয় দুপুরের খাবার সুবিধা পাচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

বিপিএল বন্ধের পথে : অবশেষে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো রাজশাহী

বিপিএল বন্ধের পথে : অবশেষে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো রাজশাহী

বিপিএল ২০২৫-এর চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ সামনে রেখে আজ (বুধবার) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ...

চরম দু:সংবাদ : মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিপিএল

চরম দু:সংবাদ : মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিপিএল

বিপিএল-এর (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) এবারের আসর নিয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির ...

ফুটবল

পাল্টে গেলো ফুটবল বিশ্বের সকল অতীত : নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল ফিফা

পাল্টে গেলো ফুটবল বিশ্বের সকল অতীত : নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল ফিফা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে নারী ফুটবল দলের হাত ধরে। ২০২২ সালের ...

মাঠে নামছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, দেখেনিন সময় সূচি

মাঠে নামছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, দেখেনিন সময় সূচি

সম্প্রতি কঠিন সময় পার করছে ব্রাজিল ফুটবল দল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব রীতিমতো ...



রে