অ'ভিযোগ উঠেছে, গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো পারভীন আক্তার (ছদ্মনাম) অব্যাহতভাবে পাশবিক যৌ'ন নি'র্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

বর্তমানে তার অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক।

এ ব্যাপারে দ্রুত নির্যাতিত মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তার দরিদ্র পিতা রোববার দুপুরে সোনারগাঁ উপজে'লা নির্বাহী কর্মক'র্তা অঞ্জন কুমা'র সরকারের মাধ্যমে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজে'লার সাদীপুর ইউনিয়নের সিংলাব গ্রামে বসবাসরত হতদরিদ্র সিরাজুল ইস'লামের মেয়ে পারভীন আক্তার (ছদ্মনাম) বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি আরব সরকারের সব নিয়মকানুন মেনে গৃহকর্মীর কাজ করার জন্য বৈধভাবে ভিসা নিয়ে চলতি বছরের ২ জুন সৌদি আরবের ম'দিনা প্রদেশে গমন করে।

সেখানে যাওয়ার আগে দেশে সে গৃহকর্মী কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।পারভীন আক্তারের পিতার অ'ভিযোগ, দরিদ্র পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে অনেক আশা নিয়ে তার মেয়ে সুদূর সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিল।

সেখানে একটি ধনী পরিবারে গৃহকর্মী হিসেবে যোগদান করার কিছুদিনের মধ্যে তার মেয়ে তাকে মোবাইল ফোনে জানান যে, ওই পরিবারের প্রধান গৃহক'র্তা ও তার ছেলে প্রতিনিয়ত তার ওপর পাশবিক নি'র্যাতন চালাচ্ছেন। শারীরিক নি'র্যাতন চালানোর পাশাপাশি যৌ'ন নি'র্যাতন চালাচ্ছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় জ্বলন্ত সিগারেটের আ'গুন দিয়ে তারা তার শরীরের বিভিন্ন স্প'র্শকাতর স্থানে ছ্যাঁকা দিয়েছে ও গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।

দরিদ্র পিতা কা'ন্নাজ'ড়িত কণ্ঠে বলেন, আমা'র মেয়ে সৌদি আরবে প্রতিনিয়ত নি'র্যাতনের শিকার হচ্ছে। তার অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক। তাকে জীবিত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

সোনারগাঁ উপজে'লা নির্বাহী কর্মক'র্তা অঞ্জন কুমা'র সরকার বলেন, গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরবে গমন করে সোনারগাঁয়ের এক মেয়ে নি'র্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে একটি লিখিত অ'ভিযোগ পাওয়া গেছে। দরিদ্র এক ব্যক্তি নি'র্যাতনের শিকার তার মেয়েকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে তার মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়ে আবেদনটি করেছেন। আবেদনটি দ্রুত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।