এখন চামড়া পাচ্ছে না ট্যানারি
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়তদাররা ভুগছেন অর্থ সংকটে। ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের ৩০০ কোটি টাকার মতো অর্থ বকেয়া রয়ে গেছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করে গত বছর থেকে ট্যানারিগুলো নিজেরাই সরাসরি চামড়া কেনা শুরু করেছে বলে তথ্য মিলেছে। চলতি বছরও ঈদের দিন বিপুল পরিমাণ চামড়া কেনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে চামড়ার দরপতনের পর সরকার এবার কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আর এরপর ট্যানারি মালিকরা প্রথমে ২০ আগস্ট ও পরে ১৭ আগস্ট থেকে আড়তদার বা বড় হাট থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কেনার ঘোষণা দেন।
কিন্তু নির্ধারিত দিনে এসে বেঁকে বসেছেন আড়তদাররা। তারা বলছেন, বকেয়া পরিশোধ না করলে ট্যানারিকে চামড়া দেবেন না তারা।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়িদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মা'র্চেন্ট এসোসিয়েশন’ এতদিন ৩০০ কোটি টাকার কথা বললেন এখন বলছেন, অংকটা ৪০০ কোটির মতো হবে। আর সব পাওনাদারদেরকে হিসাব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব জমা দেওয়া হবে।
রাজধানীর পোস্তায় সংগঠনের কার্যালয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ট্যানারির কাছে চামড়া না বেচার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা টাকা পরিশোধ না করায় ঈদের সময় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এতে করে এবার কোরবানি ঈদের সময় বিপুলসংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দেশ তার মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
ট্যানারি মালিকদের কারণে চামড়ার দাম কমেছে অ'ভিযোগ করে আড়তদারদের এ নেতা বলেন, ‘ট্যানারিগুলো বকেয়া টাকা না দেওয়ায় এবার অর্থের অভাবে চামড়া কিনতে পারিনি। অন্যান্য বছর ঈদের আগেরদিন আড়তদারদের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার তারা কোনো কথা বলেনি। তারা যদি আমাদের আশ্বস্ত করত, তাহলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না। কিন্তু এটি না করে উল্টো মিডিয়ার কাছে নানা কথা বলেছে। এ কারণে আরও দর কমেছে। তাই ট্যানারি মালিকরাই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।’
‘আজ থেকে ট্যানারি মালিকরা কাঁচা চামড়া ক্রয় করার কথা রয়েছে। কিন্তু আম'রা বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় আজ কোন ধরনের কাঁচা চামড়া বিক্রি করব না।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ট্যানারি মালিকদের কাছে আমাদের পোস্তায় ব্যবসায়ীদের পাওনা ১০০ কোটি টাকা এবং সারাদেশের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সহ বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এই টাকা পরিশোধ করা হলেই কেবল আম'রা কাঁচা চামড়া বিক্রি করব।’
রবিবার এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- স্বর্ণের দাম নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী
- চরম দু:সংবাদ : ফেরত পাঠানো হল ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশিকে
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান