যুবরাজকে দেখতেই ভিড় করছে মানুষ। কেউ ছবি তুলছে। কেউ ভিডিও করছে। আগ্রহীদের অনেকে দামও জিজ্ঞেস করছে। শাহালম মিয়া বলেন, ‘এ গরুটির পেছনে প্রতিদিন এক হাজার টাকার খরচ হয়। গরুটিকে খড়,চালের খুদের ভাত,মৌসুমি ফল,এবং মৌসুমি সবজি খাওয়ানো হয়। নিজের সন্তানের মতো করে এ গরুটিকে লালন পালন করেছি।’ তবে এখনো ক্রেতা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমা'র বাড়ি ঝিনাইদহের দুরগাপুর উপজে'লায়। আমি মোট পাঁচটি গরু নিয়ে এসেছি। চারটি গরুর নাম দিয়েছি আর একটির নাম দেওয়া হয়নি। এদের ভেতরে রবি নামের গরুটির দাম চেয়েছি ১৫ লাখ টাকা। বাদশা নামের গরুটির দাম চেয়েছি ১০ লাখ টাকা। আর একটি গরুর নাম রাখা হয়নি,এটার দাম ৫ লাখ টাকা।’

গাবতলীর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, কালো পাহাড়,সাদা পাহাড় ও লাল পাহাড় নামের তিন বড় গরুর চোখ জুড়াচ্ছে দর্শকদের। এছাড়া রয়েছে বাহাদুর,ডন,লালু ইত্যাদি। বাজারে ছোট বা মাঝারি গরু কিছুটা বিক্রি হলেও বড় গরুগুলো এখনো বিক্রি হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন। গরু নির্ধারিত জায়গায় বেঁধে নিজেরা পাশে খালি জায়গায় ঘুমাচ্ছেন। কেউ রান্না করছেন। এভাবেই সময় পার করছেন।

পাবনা থেকে আসা এ তিনটি গরুর মালিক মঞ্জুরুল ইস'লাম জানান,তিনটি গরুর মধ্যে কালা পাহাড় তাঁর সবচেয়ে বড় গরু। এ গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। লাল পাহাড়ের দাম ১২ লাখ টাকা,সাদা পাহাড়ের দাম ১০ লাখ টাকা। তবে এখনো এসব গরুর ক্রেতা আসেনি।

এ বিষয়ে মেহেরপুর থেকে আসা সোহেল রানা বলেন, ‘রাজধানীর মানুষ ঈদের একদিন আগে কেনে। তবে আম'রা বাজারের জায়গা ধরতে আগে থেকেই চলে এসেছি। বড় শখ করে পালন করা পশু ঢাকায় নিয়ে এসেছি ভালো মূল্য পাওয়ার আশায়। বাজার এখনো জমেনি।’

রাজধানীতে পশু রাখার জায়গার সংকুলানের কারণে হাটে ক্রেতাসমাগম খুবই কম। যারা এসেছে,কেনার চেয়ে বাজার যাচাইয়ে বেশি মনোযোগী তারা।