কাশ্মীর নিয়ে মমতার আসল চেহারা বেড়িয়ে আসল
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভায় তৃণমূলকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করতেও দেখা গিয়েছে। সার্বিকভাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে এই দুটি আর্টিকেলের বিরোধী তৃণমূল। কিন্তু, মমতা নিজেই নীরবতা ভেঙে বলেছেন, বিলের ‘মেরিট’ নিয়ে প্রশ্ন নেই। পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সোমবার কেন একটি শব্দও কেন সোমবার খরচ করলেন না মমতা। কেন ২৪ ঘন্টা পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন। খবর: কলকাতা ২৪।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই বলছেন, লোকসভা নির্বাচনটি পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ‘গেমপ্ল্যান’ পরিবর্তন করেছে। এখন অন্ধ বিজেপি বিরোধিতায় নামতে চাননা নেত্রী। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর ও একই পরামর্শ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ৩৭০ এবং ৩৫(এ) কে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকার সারা দেশে জাতীয়তাবাদের ঝড় তুলে দিয়েছে। সেখানে , আপ, টি আর এস, টিডিপি, বহুজন সমাজ পার্টি এর মত বিরোধীরাও মোদীর সঙ্গী। সেখানে নিছক বিরোধিতার জন্যই এই কাজ তৃণমূলকে বিপদে ফেলতে পারে বলে মনে করেছেন নেত্রী। তৃণমূল সাংসদরা রাজ্য সভায় ৩৭০ এবং ৩৫(এ) এর সমর্থনে ভোট দিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে জাতীয়তাবাদ বিরোধী পার্টি বলার সুযোগ পেত।
লোকসভা নির্বাচনে যেখানে পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় মেরুকরণ দেখা গিয়েছে, সেখানে ৩৭০ এবং ৩৫(এ) সমর্থন করলে তৃণমূল রাজ্য রাজনীতিতে দেশ বিরোধী বা হিন্দুত্ব বিরোধী তকমা থেকে বাঁচতে পারতো না। কিন্তু আবার বিরুধ্যে ভোট দিলেও তোষণের প্রশ্ন উঠত। সেক্ষেত্রে, ভোট না দিয়ে বেরিয়ে আসাটাই শ্রেয় মনে করেছে মমতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আরও ব্যাখ্যা, সমাজবাদী পার্টি বা কংগ্রেস, বাম বা ডিএমকে এর জন্য পরিস্থিতি আলদা ছিল। তারা যত সহজে বিলের স্বপক্ষে ভোট দিতে পেরেছে, তৃণমূলের পক্ষে কাজটা ততটা সহজ ছিল না। রাজ্যসভায় ৩৭০ এবং ৩৫(এ) এর পক্ষে ১২৫ টি ভোট পড়েছে। বিপক্ষে পড়েছে ৬১টি ভোট।
তৃণমূল কংগ্রেসের মতোই ভোট দেয়নি এনসিপি এবং জেডিইউ। উৎশৃঙ্খলতার জন্য পিডিপির দুই সংসদকে বিতাড়িত করা হয়। রাজ্যসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই বিজেপির। কিন্তু তা সত্যিই ৩৭০ বা ৩৫(এ) কে ধরে রাখতে না। মোদী বিরোধীরা দেখলেন, দেশের স্বার্থে কথা ভেবে মোদী বিরোধী হিসাবে পরিচিত সম আদমি পার্টি, বিজু জনতা দল, বিএসপি, টিডিপি, টিআরএস – ও এনডিএ-এর সমর্থনের ভোট দিয়েছে। উচ্চকক্ষেই সরকার তিনটি বিল পাশ করিয়েছে। পাশ হলো জম্মু-কাশ্মীর বিলও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক এবং টুইটার আর্টিকলে ৩৭০ এবং ৩৫(এ) সম্পর্কে নিশ্চুপ।
তবে চেন্নাই যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা জানিয়েছেন,জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েই। তিনি বলেন, “বিলের মেরিট নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু, কি ভাবে করা হলো। কাশ্মীরে গিয়ে কি আলোচনা করে করা যেত না? ফারুক আবদুল্লা বা মেহেবুবা মুফতিরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ওরা কেউ কি জঙ্গি। ওদের গ্রেফতার করা হলো কেন? কেন বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় হলো না?” ওই সিদ্ধান্তের শরিক হতে চাননি মমতা। বলেছেন, ” সেক্ষেত্রে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই বিলের পক্ষে ভোট দিলেও ওই পদ্ধতির মধ্যে থাকা হতো।”
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- একটা বাচ্চা ছেলেও বলবে এটা ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- রাজপথ দখল করতে চায় আ. লীগ, যেভাবে চলছে প্রস্তুতি
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- সৌদি আরবের ইকামা ও ভিসা নিয়ে পাওয়া নতুন খবর
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার