টাইগাররা বারবার ইনজুরিতে পড়ার কারন হিসেবে যা বললেন চিকিৎসক
বিসিবির চিকিৎসক বিদেশি ফিজিওদের ওপর দোষ চাপাতে রাজি নন, তবে ভিনদেশি বলে সাংস্কৃতিক পার্থক্য যে কিছুটা সমস্যা বয়ে আনছে তা তিনি স্বীকার করছেন। আবার খেলোয়াড়দের অসচেতনতাও যে অনেক ক্ষেত্রেই ইনজুরির প্রধান কারণ তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে এতো নিয়মিত ইনজুরির দায়টা ফিজিওদের উপর দিলে হবে না।
এখানে যে সব বিদেশি ফিজিও আসেন তাদের যোগ্যতা নিয়ে ; প্রশ্ন তোলা ভুল হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে ঘনঘন ইনজুরির জন্য ক্রিকেটারদের অসচেতনতাই বেশি দায়ী। আরেকটা বিষয় হলো বিদেশি ফিজিওদের সঙ্গে তাদের চাওয়া পাওয়াটাও ঠিকমতো পূরণ হয় না কালচারাল দূরত্বের কারণে।’
এ ছাড়াও খেলোয়াড়দের চোট সম্বন্ধে উদাসিনতার চিত্রও তুলে ধরলেন দেবাশীষ, ‘সবচেয়ে বড় যে বিষয় আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা নিজের কি হয়েছে বা কোন ধরনের ইনজুরি সেটি জানতেই চান না। তারা চান সরাসরি সমাধান। কিন্তু এখানে ইনজুরি থেকে মুক্তির জন্য প্রতিটি ক্রিকেটারকেই জানতে হবে তার ইনজুরির ধরণ কি। কারণ তা না জানলে সে নিজের যে কাজ তা করবেন কী করে! দেখা গেল ফিজিও, চিকিৎসকরা তাকে একটা রুটিন দিয়েছে কাজ করার।
কিন্তু তার নিজের ধারণা না থাকার কারণে এমন কিছু করলেন যেটা তারই ক্ষতি হচ্ছে। আসলে এখানে যেমন ফিজিওকে দক্ষ হতে হয় তেমনি জানা ও বোঝার জন্য ক্রিকেটারদের কিছু জ্ঞান থাকতে হবে। সব ক্রিকেটার যে এমন তা আমি বলছি না। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ইনজুরি জ্ঞানের অভাবে ঘনঘন চোটে পড়েন। তারা তাড়াহুড়া করেন মাঠে ফিরতে। কেউ কেউ ছোট ছোট ইনজুরিকে পাত্তা দেন না। যা পরে বড় আকার ধারণ করে।’
দেবাশীষ যেমন বিদেশি কোচের কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেছেন তেমনি তা থেকে উত্তরণের সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন,‘আমি অভিযোগ বলতে রাজি নই। তার কাজেতো আমরা খারাপ কিছু দেখিনি। হ্যাঁ, এটা হতে পারে তার সঙ্গে ক্রিকেটারদের বোঝা-পড়ার একটা দূরত্ব ছিল। এটা থাকা অস্বাভাবিক নয়। এখানে আমাদের যা করতে হবে তা হলো দেশি ফিজিওদের তৈরি করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের এখানে অনেক ভালো ফিজিও আছেন, তাদের উপর ভরসা রাখতে হবে। একটা ট্যুরে একজন বিদেশি ফিজিওকে না পাঠিয়ে দেশিদের পাঠালে ক্ষতি কি?
তারাইতো সারা বছর ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করে। জাতীয় দল ছাড়া আর সব জায়গাতেই দেশি ফিজিওদের উপর নির্ভর করতে হয়। তাহলে জাতীয় দলে কেন নয়? তাই বলে আমি বলবো না যে বিদেশি ফিজিওর দরকার নেই। কারণ তারা আসলে আমাদের ছেলেরা কাজ শিখতে হবে। সেই ক্ষেত্রে তাদের একাডেমিতে রাখা হোক। বা সেন্ট্রালি রাখা হোক, যিনি সারা বছর সব কিছু দেখবেন। আমরাও তার কাছে প্রয়োজনে যাবো। এর সঙ্গে উপকরণও আধুনিক করতে হবে। শুধু বিদেশি ফিজিও আনলেই হবে না, তার কাজ করার জন্য সময়োপযোগী আধুনিক সব কিছুও দিতে হবে।’
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- স্বর্ণের দাম নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ঝটিকা মিছিল, পরিকল্পনা হাসিনার, তদারকিতে পলাতক কয়েকজন নেতা