রূপগঞ্জের যে স্থানে অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে ওই স্থান দিয়ে দেশের প্লেন উড়ে। এখান দিয়েই আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানে উড়ে যান। এই জায়গা দিয়ে অনেক নিচু দিয়ে বিমান উড়ে যায়। ওদের টার্গেট একটাই। আর সেটা হচ্ছে আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।

তিনি বলেন, সমস্ত শক্তি, সমস্ত ষড়যন্ত্রকারী এক হয়েছে। তাদের এখন একটাই উদ্দেশ্য। তারা শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করতে চায়। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেটাকে স্তব্ধ করতে চায়।

আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, অভ্যন্তরীন কোন্দলের কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের সন্মুখীন হতে হবে আগামী এক বছরের মধ্যে।

এ চ্যালেঞ্জ স্বাভাবিক চ্যালেঞ্জ না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্ত শকুন একদিকে হয়েছে মরণ আঘাত হানার জন্য। তারা প্লান করেছে, তারা তাদের লিষ্ট ধরে নির্বাচনের রাতে সারা বাংলাদেশে শত হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করবে।

তাদের ষড়যন্ত্র বানচাল হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সেই লিস্ট গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সরকারের হাতে পৌঁছে গেছে।

শয়তান কখনো আল্লার সাথে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর রহমত আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। সুতরাং ষড়যন্ত্রকারীরাও শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

৯ আগস্ট বুধবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রেনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান সাদেক, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন, নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক কাউন্সিলর হাজী ওমর ফারুক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও নাসিক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু, কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ এনায়েত হোসেন, জেলা তাতী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ জসিমউদ্দিন চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।