আদতে সেটা নয়। গানটির কথা ও সুর প্রিন্স মাহমুদের। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া শেষ দেখা অ্যালবামের গান এটি। যেখানে হাসানের এই গানসহ প্রত্যকেটি গান ছিল জনপ্রিয়, ছিল বললে ভুল হবে এখনও শ্রোতাপ্রিয় গানগুলো।

নোবেলের পারফর্ম সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। তিনি বলেন , ‘দুঃখিত, এতো ক*ষ্ট কেন ভালবাসায় আর্ক ব্যান্ড এর গান না। এটা ১৯৯৮ এ রিলিজ হওয়া আমার কথা ও সুরে আমার মিক্স এ্যালবাম “শেষ দেখা” র গান, হাসান গেয়েছিল।’

তবে একজন সমালোচন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নোবেল অত্যন্ত ধূর্ত। সে বাবা গান গেয়ে প্রিন্স মাহমুদ ভাইয়ার নাম না বলে সবার তোপের মুখে পড়ে ফেসবুকে এসে কা*ন্নাকাটি করে মাফ চাইল, প্রিন্স মাহমুদ ভাইয়া মাফ করে দিলেন। এরপর মা গানে সে প্রিন্স মাহমুদের নাম বলে নাই। জেমস গুরুর নাম এমন ভাবে বলে মনে হয় জেমস তার বন্ধু। এদিকে সান্তনু মৈত্রকে কে স্যার স্যার করতেসে। কিন্তু জেমস হাসান যেন তার বন্ধু । এই ছেলে অন্যের গান গেয়ে স্টার! সে ইচ্ছাকৃত ভাবে একই ভুল বার বার করছে। এভাবে কতদূর আগাতে পারবেন? সাময়িক খ্যাতি পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করা উচিৎ না।’

নোবেলের এই রকম ভুল এর আগেও হয়েছে উল্লেখ করে একজন নেটিজেন বলেন, ‘নোবেল যে গানটি গাইতে যাবেন তার আগে গানটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কলকাতার মঞ্চে বাংলাদেশের গানকে ভুলভাবে প্রেজেন্ট করা শোভনীয় নয়।’

সারেগামাপাতে নোবেলের গাওয়া অনেকগুলো গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নোবেল সারেগামাপাতে তার গাওয়া জেমসের কালজয়ী ‘বাবা’ গানটির মাধ্যমেই সর্বপ্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ ছাড়া অনুপম রায়ের জনপ্রিয় গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’, কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বাংলা স্বাধীন রক সংগীত ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগু***’র জনপ্রিয় গান ‘আলোকবর্ষ দূরে’, নচিকেতার জনপ্রিয় গান ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ছাড়াও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানও নোবেল সারেগামাপাতে গেয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পান।