| ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সালমান শাহ-সামিরার দাস্পত্য কলহের নেপথ্যে ছিল কে এই রুবি

বিনোদন ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ আগস্ট ০৭ ২০:১২:৩০
সালমান শাহ-সামিরার দাস্পত্য কলহের নেপথ্যে ছিল কে এই রুবি

রুবিকে নিয়ে বিতর্ক বহু আগে থেকেই। সালমান জীবিত থাকাকালে রুবিকে তার ফ্ল্যাটে থেকে কখনো না আসার নির্দেশ দিয়ে বের করে দেন। ঘটনাটি পারিবারিক কোন্দল নিয়ে। সালমানের মা’র সাথেও সেই থেকে রুবির মন কষাকষি চলতে থাকে। অভিযোগ আছে। এর কথা ওর কানে, ওর কথা এর কানে লাগিয়েছ। উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করাতে তার খ্যাতি আছে। এ কাজে তিনি বরাবরই সিদ্ধহস্ত। তার ইচ্ছে ছিল আমেরিকা পড়ুয়া ছোট ভাইর জন্যে সামিরাকে স্ত্রী করে ঘরে তুলবেন।

সেই স্বপ্ন মিথ্যে হয়ে হয়ে গেলো সালমান-সামিরার বিয়েতে। সুষ্পষ্ট অভিযোগ আছে, সালমান-সামিরার দাস্পত্য কলহের পশ্চাতে তার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। সালমানকে তিনি দেখে নেবেন, এরকম কথাও তিনি বলেছেন অনেকের কাছে । যাদুশিল্পী আজরা জ্যাবিনের কাছে এই রুবি বলেছিলেন, ‘সালমানের সব টাকা তার মা নিয়ে যাচ্ছে সামিরার কি হবে? এবং এ অভিযোগটি করেছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। তার ভাষ্য, আমার ছেলের টাকা আমি নিলাম না তার বাবা নিল- এসব নিয়ে রুবির মাথা ব্যথা কেন? রুবি কে, যে আমার সংসার জীবনে হস্তক্ষেপ করবে?

সালমানের মৃত্যু দিন ছিল প্রশ্ন সাপেক্ষ। তার ভূমিকা নিয়েও পত্রপত্রিকাসহ নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেছেন। সালমানের মৃতদেহ একপাশ রেখে রুবি-সামিরা বসে গল্প করার অভিযোগও সুস্পষ্টভাবে কথিত আছে। এই প্রশ্নগুলো যখন লোকমুখে

ঠিক তখনই এ প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি দেখা করতে আসেন রুবি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে একে একে উত্তর দেন সব প্রশ্নের, খন্ডান যুক্তি। অথচ ও আগে বারদুয়েক তার পার্লারে দেখা করতে গেলে বলা হয়, তিনি পার্লারে নেই, বাইরে আছেন।

রুবি বলেন, “ইমনের আত্মহত্যার খবর শুনে সাথে আমার ছেলে ভিকি, পার্লারের মেয়েরা। ফ্ল্যাটে ঢোকার মুহুতেই দেখলাম ধরাধরি করে ইমনকে বের করে আনা হচ্ছে। আমি ভাবলাম, স্লিপিং পিল খেয়েছে, ষ্টমাক ওয়াশের জন্যে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ভিতরে ঢুকে দেখি ডাইনিং টেবিল-কিচেনের মাঝামাঝি মেঝেতে সামিরা বসা। কাঁদছে। আমাকে দেখেই ও দৌড়ে এলো। ওকে সান্ত্বনা দেয়ার সময় ৮১ সালের ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমি বুঝতে পারছিলাম ওর ভেতরে তোলপাড় করা অবস্থা। টের পেলাম সুইটি ভাবী, ইয়াসমিন তখনো দাঁড়িয়ে।

একটু পরেই ইমনের মা ( নীলা চৌধুরী) এসে বললো, ‘দরজা বন্ধ কর, কাউকে ঢুকতে দেবে না। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তিনি সামিরাকে বলে উঠবেন, ‘সামিরা কাইন্দো না, তুমিই ইমনকে মেরেছ’। তখন সামিরা হিষ্টিরিয়া রোগীর মতো বলে উঠলো, ‘আমি কেমন করে আপনার ছেলেকে মারলাম।’ তখনো হীরা ভাইকে (সামিরার বাবা) জানানো হয়নি ইমনের খবর। সুইটি ভাবীর বাসায় গিয়ে ফোনে চট্টগ্রামে হীরা ভাইয়ের সাথে কথা বললাম। কিছুক্ষণ পরে ফ্ল্যাটের ম্যানেজার ডাক্তার নিয়ে এসেন। ডাক্তার কিছু না বলেই চলে গেলেন। আমি স্লাভো ক্লিনিক গিয়ে জিজ্জেস করাতে তিনি বললেন, সালমান মৃত। আমি উল্লেটা প্রশ্ন করলাম, আপনি নিশ্চিত? ডাক্তার সম্মতি জানাতেই, ভালো হলো না, বলে চলে এলাম।

সাথে আমার ছেলে ভিকি। এসেই সামিরা, সালমান মহসীন (সুইটি ভাবির বর) ভাইকে জানালাম ইমন মারা গেছে। কিছুক্ষণ পর ফ্ল্যাট থেকে ফোন করলাম এক উর্ধবতন পুলিশ কর্মকর্তাকে। বললাম পুরো ঘটনা। ঐ অবস্থায় সামিরাকে নেবো প্রশ্ন করাতেই তিনি বললেন, ‘আপনি ভুলেও এ কাজ করবেন না। জড়িত হয়ে পড়বেন। সামিরা তখন আমাকে বললো, ‘ইমন একটা চিঠি লিখে গেছে। আমি বললাম, কোথায় সেটা? সামিরা বললো, ‘আবুলের হাতে।’ আমি তখন তাকে বললাম, ‘তুমি কি একটা বুদ্ধু মেয়ে? তুমি জানো এ চিঠির মূল্য কতো? এরপর ১/বি-র রুমির আব্বা এসে সামিরাকে ওনার ফ্ল্যাটের নিয়ে যান। আমি আমার বাসায় চলে যাই। আমি বুঝতে পারছি না আমাকে কেন ইমনের আত্মহত্যার সাথে জড়ানো হচ্ছে। গত অক্টোবর ’৯৫ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সামিরার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ফ্ল্যাটের দারোয়ানই তার প্রমাণ।’

রুবির দেয়া ব্যাখ্যাই যে সর্বাংশে সত্যি তারও যথাযথ প্রমাণ নেই। তথাকথিত আত্মহত্যার পর রশি কেটে নামানোর পর সালমানের গায়ে তেল মালিশ করার সময় রুবি যে উপস্থিত ছিলেন সেটা সামিরা নিজেই বলেছেন। পত্রিকার পাতা ওল্টালেই তার প্রমাণ মিলবে। তিনি বলেছেন, সালমানকে ধরাধরি করে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পরেই তিনি ফ্ল্যাট ঢোকেন। অথচ নীলা চৌধুরী তাকে ফ্ল্যাটে ঢুকেই দেখতে পান।

ডাক্তারকে জিঙ্গেস করা, ‘কাজটা ভালো হলো না,’ উর্ধবতন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অতি উৎসাহী আলাপনের রুবির স্ববিরোধিতা প্রকাশ পেয়েছে, বুদ্ধিমতি হলেও তিনি তা বুঝে উঠতে পারেননি। সালমানের লিখে যাওয়া চিঠি আবিস্কারের সাথে তার নাটকীয় সম্পর্ক তাকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। ফ্ল্যাটে তিনি এক বছর ধরে যান না এবং ফ্ল্যাটের রেজিষ্ট্রার বই তার প্রমাণ বলে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতেও অসত্য লুকিয়ে আছে। ইস্কাটন প্লাজায় ঢুকতে যে তার সই করতে হয় না কিংবা রিসেপশন থেকে ইন্টারকমের মাধ্যমে সম্মতি নিতে হয় না এ কথা ফ্ল্যাটের সবাই জানে। ফ্ল্যাটের কর্মচারীদের কাছে ‘তথাকথিত আন্টি’ নামে পরিচিত।

উৎস : সুপন রায়, সাংবাদিক ও সালমান শাহ্‌'র অজানা কথা বইটির লেখক।

ক্রিকেট

দল হারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর যত রান করলেন সাকিব

দল হারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর যত রান করলেন সাকিব

দীর্ঘ দুই মাস পর আবুধাবি টি-টেন লিগ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলা টাইগার্সের ...

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা, দেখেনিন ফলাফল

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা, দেখেনিন ফলাফল

অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা ছিল পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রণে। প্রথম দিন ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ২৫ ...



রে