দৌড় শুরুর আগে ও পরে দর্শকদের দুয়োধ্বনি শোনেন মার্কিন এ অ্যাথলেট। তবে ৩৫ বছর বয়সী গ্যাটলিনের আশা তার এ জয়ে অ্যাথলেটিকস তাকে নিয়ে গর্বকরবে এবং ভুল শুধরে অন্যদেরও ফিরতে অনুপ্রাণিত করবে।

শনিবার লন্ডন স্টেডিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ১০০ মিটার স্প্রিন্টের শিরোপা জয়ের পথে গ্যাটলিন সময় নেন ৯.৯২ সেকেন্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার দৌড়ের শিরোপা পুনরুদ্ধার করলেন তিনি ১২ বছর পর। ২০০৫ অ্যাথেন্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যামাইকার মাইকেল ফ্যাটারকে হারিয়ে স্বর্ণ কুড়ান তিনি।

তবে গ্যাটলিনের এবারের কীর্তিটি আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয় মন্থর দৌড়ে শিরোপা জয়ের নজির। এমন তালিকায় তার আগে রয়েছে ২০০৩’র আসরে ১০.০৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে কিম কলিন্সের শিরোপা জয়ের ঘটনাটি।

লন্ডনে জয় শেষে গ্যাটলিন বলেন, আমি খেলায় ফিরে এসেছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি, সকল আইনকানুন ও শাস্তির মুখোমুখি হয়েছি। আ

মি তরুণ অ্যাথলেটদের অনুপ্রেরণা যোগাতে চেষ্টা করেছি। নিজ দেশে আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, ভুল হয়ে যেতে পারে তবে তোমাকে ফিরতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, তাহলে সবাই গ্রহণ করে নেবে। ক্যারিয়ারে ডোপ পাপে গ্যাটলিন নিষেধাজ্ঞা পোহান দুই দুইবার।

২০০১ সালে তার রক্তে নিষিদ্ধ ওষুধ এমফেটামিনের অস্তিত্ব পায় বিশ্ব এন্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)। যদিও গ্যাটলিন বলেন মস্তিষ্কের জটিল রোগের চিকিৎসায় বালক বয়স থেকেই এ ওষুধ গ্রহণ করছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে টেস্টোসটেরন ধরা পড়ে গ্যাটলিনের রক্তের নমুনায়। তবে ওয়াডার তদন্তে সহযোগিতা করায় আট বছরের নিষেধাজ্ঞায় পার পান গ্যাটলিন।

পরে আপিল শেষে তার শাস্তি নেমে আসে চার বছরে। গ্যাটলিন বলেন, ২০১০ সালে খেলায় ফেরার পর লন্ডনে এবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো আর কোথায় দর্শকদের এমন আচরণ দেখেননি তিনি। আর গ্যাটলিন মনে করেন, উসাইন বোল্টের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠাটা এর কারণ।