মঙ্গলবার সকালেও এ নিয়ে বিলাশের সঙ্গে তার মায়ের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিলাস অভিমান করে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে ফিরিয়ে আনে। পরে ওই রাতে মেয়ের সঙ্গেও গীতার ঝগড়া হয়। এরপর দুই ভাইবোন এক রুমে ঘুমায়।

বুধবার সকালে সকলের অগোচরে বিলাস ঘর থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী সিঙ্গিমারী ব্রিজের কাছে গিয়ে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিলাসের খণ্ড বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে।

ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রবীন চন্দ্র বলেন, গীতার বাড়িতে প্রায়ই অপরিচিত লোকজন যাতায়াত করতেন বলে শুনেছি। বিষয়টি বিলাস মেনে নিতে পারতো না। এ নিয়ে ছেলে বিলাসের সঙ্গে প্রায়ই গীতার ঝগড়া হতো।

বিলাসের মা গীতা রানী বলেন, সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিলাস বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে লোকমুখে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারি।

রংপুরে বিলাস রায় (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকালে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের ৩৩নং সিঙ্গিমারী ব্রিজের পাশ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

বিলাস বড়বাড়ি বয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করায় রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।