সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় আগুনের সূত্রপাত হয়ে পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সারা রাত কাজের পর মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাতের বিষয় নিশ্চিত করতে পারনেনি কেউ।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ জানান, স্টিলের অবকাঠামো দিয়ে তৈরি ওই স্পিনিং মিলে প্রচুর পরিমাণ সুতা ও তুলা থাকায় আগুন কম সময়েই পুরো কারাখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুন সকাল ৬টার দিকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কারখানার মালামালের ভেতর জ্বলতে থাকা আগুন নিভিয়ে ফেলেতে আজ দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

কুমিল্লা ইপিজেড বেপজার সোসাইল কাউন্সিলর সোহেল মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, ২০০৭ সাথে আরএন স্পিনিং কারখানাটি সুতা তৈরি শুরু করে। ১২০০ শ্রমিক কারখানাটিতে কর্মরত ছিলেন। মোট চারটি শিফটে কাজ করতেন শ্রমিকরা। বিকাল ৫টায় জেনারেল শিফটের পর সোমবার রাত ৯টায় আরেকটি শিফটের কাজ শেষ হওয়ার পর শ্রমিকরা বের হচ্ছে এমন সময় কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার কোনো শ্রমিক বা কর্মচারী আহত হয়নি।

সোহেল বলেন, আগুনে আরএন স্পিনিং মিলের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যথেষ্ট কষ্ট করেছে। পানির কোনো অভাব ছিল না। সুতা এবং তুলার আগুন হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ র‌্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টি তদারকি করেন।

আগুনে ওই কারখানার ভেতর থাকা সব মেশিনপত্র, মালামাল ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ কিংবা আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কিংবা মালিক পক্ষ।