ঈদে সরকারি ছুটির তারিখ ঘোষণা
সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটি বাড়ানোর একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে এবার ঈদের ছুটি শুরু হবে ৩০ আগস্ট বুধবার থেকে এবং শেষ হবে ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার। যদিও এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ঈদের ছুটি হিসেবে কার্যকর হবে। সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা এবার ঈদের ছুটি পাবেন ছয় দিন। আর এ ছয় দিন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আর ঈদের এ বাড়তি ছুটি কর্মচারীদের ঐচ্ছিক ছুটি থেকে কেটে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ঈদে ছুটি বাড়ানোর একটি প্রস্তাব সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে নীতিগত সিদ্ধান্ত আসার পরই এটি সর্বোচ্চ ফোরামে উপস্থাপন করা হবে। এখানে অনুমোদন পেলে ছুটির আদেশ জারি হবে। না হলে বিদ্যমান নিয়মে ছুটি থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বছরের নির্ধারিত ছুটি ঠিকই থাকবে। বাড়তি ছুটি কর্মচারীদের ঐচ্ছিক ছুটি থেকে কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ শুধু ঐচ্ছিক ছুটির সঙ্গে ঈদের ছুটির সমন্বয় করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে এবার ঈদুল আজহা পালন হবে ২ সেপ্টেম্বর শনিবার। ঈদের দিন ও তার আগের দিন পড়ছে সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে বিদ্যমান নিয়মে এবার তিন দিন ঈদের ছুটি থাকলে এর দু’দিনই পড়ছে সাপ্তাহিক ছুটি। বাড়তি কোনো ছুটি পাচ্ছেন না সরকারি চাকরিজীবীরা। চাকরিজীবীরা বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা হবেন। আবার সোমবার অফিস খোলা থাকায় ঈদের পরের দিন রোববার ঢাকামুখী হবেন। এতে একসঙ্গে রাস্তাঘাটা, ফেরি, লঞ্চ, রেলের ওপর চাপ বাড়বে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। এমনকি গ্রামের সড়কও বেহাল। তারপর এত চাপ মোকাবেলা করা প্রশাসনের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ারও আশঙ্কা থাকছে। ফলে চাকরিজীবীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি পোঁছাতে ঈদের ছুটি বাড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, ঈদে ছুটি বাড়ানোর দাবি সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের। ২০১০ সালে ঈদুল ফিতরে সরকারি ছুটি তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিন করার একটি প্রস্তাব দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও পরে এটি নাকচ হয়ে যায়। গত ঈদুল ফিতরের ছুটিও ছয় দিন করার একটি প্রস্তাব তৈরি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এতে সম্মতি দেন; কিন্তু ওই সময় সংসদে বাজেট অধিবেশন থাকায় ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব আর কার্যকর হয়নি।
এবার সরকারি কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে এবং ঈদে যাতে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন এ জন্য ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে বছরে অফিস-আদালত ১৫৯ দিন বন্ধ থাকে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে ১০৪ দিন। অন্যান্য ছুটি থাকে ৫৫ দিন।
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- স্বর্ণের দাম নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী
- চরম দু:সংবাদ : ফেরত পাঠানো হল ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশিকে
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- ইন্টারনেট সেবায় বিশাল মূল্যছাড়, কমলো ইন্টারনেটের দাম
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা