যে ভুলের কারনে হেরেছে বাংলাদেশ
জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমে বড় হারের পর রব্বানী ডিফেন্ডারদের দায় দিলেও মাশুরা-আঁখিরা অনেক কিছু শিখেছেন বলে মনে করেন।
“গত কালকেও বলেছি নেপাল আমাদের চেয়ে সবদিক থেকে এগিয়ে। ওদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। তাছাড়া তাদের মাঠে এবং স্থানীয় দর্শকের সামনে খেলা বলে তারা এগিয়ে থাকবে। এ ম্যাচ জিততে আমাদের শতভাগের বেশি দিতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা এ ম্যাচে ছোটখাট ভুলও করা যাবে না। কিন্তু আপনারা দেখেছেন পঞ্চম মিনিটে মাশুরার ভুলে গোল হলো। এ রকম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে পাঁচ মিনিটে গোল খেলে খেলা থেকে পিছিয়ে যেতে হয়।”
“দ্বিতীয় গোলও মাসুরা-রুপনার ভুলে হয়েছে। তৃতীয় গোলটি হয়েছে আঁখির ভুলে। নেপাল কিন্তু ওভাবে কিছু করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে মেয়েরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ৯০ মিনিট তারা খেলার মধ্যে ছিল-এটা একটা ভালো দিক। এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। প্রতিকূলতা থেকে মেয়েদের শেখার অনেক কিছু আছে এবং আমি মনে করি তারা অনেক কিছু শিখেছেও।”
“মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে ভারত ও নেপালের সঙ্গে ম্যান মার্কিং করে খেলেছিল মেয়েরা। সেখানে নেপালের সঙ্গে আমরা ড্র করতে পেরেছিলাম; কারণ ওই ম্যাচে মেয়েরা ভুল করেনি। কিন্তু এ ম্যাচে যদি মাশুরা রুপনাকে বলত লিভ ইট বা রুপনা মাশুরাকে ছেড়ে দিতে বলত তাহলে কিন্তু গোল নাও হতে পারত।”
গত নভেম্বরে অলিম্পিক বাছাইয়ে পিছিয়ে পড়ে নেপালের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। মিয়ানমারের সেই পারফরম্যান্স মেয়েরা বিরাটনগরে টেনে আনতে পারেনি বলে হতাশ রব্বানী।
“রক্ষণ নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। নেপালকে নিয়ে যে তথ্য, যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল মেয়েদের, তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। শিউলি আজিমকে দেওয়া হয়েছিল ম্যান মার্কিংয়ের দায়িত্ব কিন্তু সে তা পারেনি।”
কোচের পাশে বলে মাশুরাও দিলেন ভুলের স্বীকারোক্তি। জানালেন নেপাল ম্যাচের ভুল থেকে শেখার কথাও।
“আমরা মোটেও নার্ভাস ছিলাম না। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু ভুল করেছি। ওই সময় যদি রুপনা আমরা সঙ্গে কথা বলত তাহলে হয়ত গোলটা হতো না। কিন্তু এ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”
“যে কোনো ম্যাচে প্রথম ম্যাচে পাঁচ মিনিটে গোল খেলে পিছিয়ে যেতে হয়। তারপরও আমরা মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। ভুল হলেও পরে শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। নেপালের খেলোয়াড়দের বয়স বেশি, অভিজ্ঞতা বেশি। শারীরিক গঠনেও ওরা আমাদের ভালো। হতে পারে এসব কারণে আমাদের ভুলগুলো হয়েছে।”
দাপুটে জয়ে সেরা চারে ওঠা নেপাল কোচ হরি খাড়কা দ্বিতীয়ার্ধে আঁখি-মাশুরাদের খেলার প্রশংসা করতে ভোলেননি। তার কথায়ও উঠে এলো মিয়ানমারের সেই ড্র।
“আমাদের লক্ষ্য ছিল শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে গোল করা এবং আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে গোল পেয়েছি। পুরোটা ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ কারণে আমরা গোল বাড়িয়ে নিতে পারিনি।”
“অলিম্পিক বাছাইয়েও আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি কিন্তু সে সময় আমার পরিকল্পনা কাজ করেনি। এবার করেছে। মিয়ানমারে ওরা রক্ষণ জমাট রেখে খেলেছিল। তবে সব কৃতিত্ব মেয়েদের। ওই ম্যাচের পর মেয়েরা অনেক পরিশ্রম করেছে। ”
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার
- ঝটিকা মিছিল, পরিকল্পনা হাসিনার, তদারকিতে পলাতক কয়েকজন নেতা