স্থানীয়রা জানায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের আজগর হাওলাদার কান্দি গ্রামে সাপের কামড়ে লিপি আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় লিপি বেগম রান্না করছিল। রান্না ঘরের মেঝের মাটি নরম হওয়ায় হঠাৎ তা পা গর্তে ঢুকে যায়। আর ঐ গর্ত থেকে কোনো এক প্রজাতির বিষধর সাপ তার বাম পায়ের তলায় কামড় দেয়। এসময় লিপি চিৎকার দিলে আমিন এসে স্ত্রীর পা রশি দিয়ে বেঁধে দেন। স্বামী তার স্ত্রী লিপিকে ডাক্তরের কাছে না নিয়ে স্থানীয় ওঝা বাচ্চুকে বাড়িতে ডেকে নেয়।

এসময় রোগীকে স্পর্শ করে আতঙ্কে একে একে হাকিম আলী, ইউনুস আলী, তাছলিমা, ফজল হাওলাদার, উজ্জল নাজমুল, স্বপন, আফসানা, আল আমিন, শরীফ মিয়াসহ প্রায় ৬৩ জন অসুস্থ হন।

বাচ্চু নামের এক ওঝার চিকিৎসাতেই তারা সুস্থ হয়ে ওঠেছেন বলে দাবি করেন অসুস্থরা। বাচ্চু ওঝা সাপে কামড়ে আহত লিপিকে ঝাড় ফোক দিয়ে সুস্থ করতে না পারায় ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে তাকে চাদঁপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ দিকে আতঙ্কে অসুস্থদের দেওয়ান বাড়ি মসজিদের মাঠে বসিয়ে বাচ্চু ওঝা চিকিৎসার নামে ড্রাম পিটিয়ে রোগীদের হাত রশি দিয়ে বেঁধে মাটির পাতিল ও শাড়ি টানানো সহ নানা ধরনের ভণ্ডামি করে অসুস্থদের আরও বেশি আতঙ্কিত করে তুলেছে। এসময় হাজার হাজার উৎসুক জনতা সেখানে উপস্থিত হয়। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনও সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতিতেই বাচ্চু ওঝা তার ভণ্ডামি চিকিৎসা চালায়।

পাশ্ববর্তী এলাকার মেম্বার ইয়াকুব হাওলাদার বলেন, আসলে আতঙ্কের কারণেই ৬৩জন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্পর্শ করার কারণে নয়।

বিষয়টি নিশ্চত করে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমাদের লোকজনকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আসলে কি কারণে লোকজন অসুস্থ হয়েছে আমি জানি না।