মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৩০৯, আতঙ্কে অভিবাসীরা
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের নাগরিকরাও আছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক বাংলাদেশিদের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।
পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগের এই অভিযানে গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক বৈধ অভিবাসীও দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আবার কেউ কেউ অভিযান দেখতে এসেও গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিদিনই সেদেশে অবৈধভাবে থাকা শত শত কর্মীকে আটক করছে পুলিশ। বিগত দিনে অভিবাসী শ্রমিকদের আটক করে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ অভিবাসীদের ছেড়ে দেয়া হলেও এবার বৈধ-অবৈধ সবাইকে ঢালাও আটক করা হচ্ছে।
কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি মাজলান লাজিম সাংবাদিকদের জানান, আটকদের সবাইকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জিজ্ঞাং ও দ্যাং ওয়ানগি থানায় (বালাই) এবং চেরাচ ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ভ্রমণ দলিল, পাসপোর্ট ওয়ার্ক পারমিটসহ সব কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ চেক করা হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ প্রধান আরও বলেন, কুয়ালালামপুর শহরকে অপরাধমুক্ত নিশ্চিত করতে কারো বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কি-না তা চেক করে দেখা হবে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানায়, অভিযানের আগে অবৈধ কর্মীদের বৈধকরণ হতে একাধিকবার সুযোগ দিয়েছে দেশটি। আমরাও আমাদের কর্মীদের বৈধ হওয়ার জন্য নানাভাবে প্রচারণা ও সহযোগিতা করেছি। সতর্কবার্তাও দেয়া হয়েছে কিন্তু এর পরও অনেকে হাইকমিশনের নির্দেশকে উপেক্ষা করেছে বা গুরুত্ব দেয়নি। এখন সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষে দেশটির পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এখানে আমাদের আর কিছুই করার নেই। দেশটি তাদের আইন অনুযায়ী ধরপাকড় বা বহিষ্কার করতে পারে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা জানান, বহুদিন মালয়েশিয়াতে থাকার পরও যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, এই ধরপাকড় অভিযান নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়ার পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। যেখানেই তারা হানা দিচ্ছে, এ খবর পাওয়া মাত্রই কমিউনিটির লোকজন ফেসবুক বা হোয়াটস-অ্যাপে সবাইকে সতর্ক করে মুহূর্তেই বার্তা পাঠাচ্ছেন কিন্তু তাতেও ধরপাকড় এড়ানো যাচ্ছে না। রাজধানী কুয়ালালামপুরে শপিং মল ও তার আশপাশের এলাকায় যারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অবস্থায় কাজ করছিলেন, তাদের অনেকেই এখন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এবং আত্মগোপনে রয়েছেন। ভয়ে পালিয়ে থাকা এসব অবৈধ বাংলাদেশিরা অনেকেই অভিযোগ করছেন- কথিত এজেন্টদের হাতে তারা প্রতারিত হয়েছেন। বৈধকরণের সুযোগ নিতে তারা এজেন্টদের কাছে টাকা দিয়েছেন কিন্তু এজেন্টরা টাকা নিলেও কোনো কাজ করেনি।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে জানায়, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯২ কর্মী এবং ৮৩ হাজার ৯১৯ জন নিয়োগদাতা বৈধকরণ প্রকল্পে নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধিতদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৩২ জন অবৈধ কর্মীকে বৈধতার অযোগ্য ঘোষণা করা হয় কিন্তু যে তিনটে ভেন্ডর কোম্পানিকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়, তাদের নাম ভাঙিয়ে বেশ কিছু নকল এজেন্ট বা দালাল বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কোনো কাজ না করে তাদের সঙ্গে বিরাট প্রতারণা করে।
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- চরম দু:সংবাদ : ফেরত পাঠানো হল ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশিকে
- স্বর্ণের দাম নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- ইন্টারনেট সেবায় বিশাল মূল্যছাড়, কমলো ইন্টারনেটের দাম
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- সৌদিতে গিয়ে ৫ জনের করুণ পরিণতি
- বিদেশি ফল নয়, ঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান এই ৫ দেশি খাবারেই পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই
- আজ বাড়লো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট, দেশে টাকা পাঠানোর উত্তম সময়