যেভাবে মায়ের চোখে খেলা দেখছেন অন্ধ ছেলে
ব্রাজিলিয়ান ওই মায়ের মান সালভিয়া গ্রেসিও। আর ১২ বছরের ছেলের নাম নিকোলাস। অন্যদের মতো করে নিজ চোখে সবকিছু দেখার ভাগ্য তার কাছ থেকে প্রকৃতি কেড়ে নিতে পারে, তবে নিকোলাস ফুটবলটা ‘দেখে’ মায়ের চোখেই। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত মায়ের কণ্ঠের সৌজন্যেই মূর্ত হয়ে ওঠে নিকোলাসের কল্পনায়।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরার বিপক্ষে বোটাফোগোর সর্বশেষ ম্যাচে টিভি ক্যামেরার ধরা পড়ে এই দুই মুখ। সেখানে দেখা যায় ছেলেকে ম্যাচের প্রত্যেকটি মুহূর্তের বর্ণনা দিচ্ছেন নিকোলাসের মা।
এরপর ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গেছেন দুজন, এমনকি পালমেইরাসের অনুশীলন সেশনেও যাওয়ার সুযোগ মিলেছে মা-ছেলের।
তা ম্যাচে কী কী বলেন ছেলেকে? কিছুদিন আগে পালমেইরাস-বোটাফোগো ম্যাচে ছেলেকে নিয়ে এসে মাঠে বসেই ৫৬ বছর বয়সী সিলভিয়া উত্তরটা দিচ্ছিলেন, ‘আমি সব খুঁটিনাটিই বলি ওকে। অমুক খেলোয়াড় ছোট হাতার জার্সি পরেছে, তাঁদের জুতোর রং কী, চুলের রং...।’ কিন্তু দেখে বোঝা, আর শুনে ম্যাচের আবেগে মিশে যাওয়া তো আর এক নয়। ছেলেকে কীভাবে আবেগটাও বোঝান, সে ব্যাখ্যা দিলেন সিলভিয়া, ‘আমার বর্ণনাটা হচ্ছে মূলত আমার অনুভূতিগুলোই বোঝানো। আমি তো আর পেশাদার নই। যা দেখি, যা অনুভব করি, ওকে বলি সেটা। এমনকি যখন রেফারিকে বকাঝকা করতে হয়, তখনো।’
নিকোলাসের পালমেইরাস সমর্থক বনে যাওয়ার গল্পও আবার আরেক চমক। যে গল্পে মিশে আছেন নেইমার! পরিবারে বাবা ও বোন অন্য ক্লাবের সমর্থক, কিন্তু নিকোলাসের মা পালমেইরাস পাঁড় ভক্ত। পারিবারিক ‘যুদ্ধে’র মুখে নিকোলাসকে পালমেইরাসের দিকে টানার দারুণ এক পরিকল্পনা এল মা সিলভিয়ার মাথায়।
নিকোলাস নেইমারের ভক্ত। এক অনুষ্ঠানে নেইমারের সঙ্গে নিকোলাসের দেখাও হয়েছিল। এরপর থেকেই পালমেইরাসের জার্সিটা নিকোলাসের প্রিয় হয়ে যাওয়ার গল্পটা জানালেন সিলভিয়া, ‘নেইমার ওকে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল। ও নেইমারের চুলে নিজের হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। অনেক অনেক বড় একটা মুহূর্ত ছিল সেটা! তখন আমি নেইমারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে ছোটবেলায় সে কোন ক্লাব সমর্থন করত। নেইমারের উত্তর ছিল—পালমেইরাস। ব্যস, আমি তখন নিকোলাসকে বললাম, “দেখেছ, তোমার মা, তোমার প্রিয় খেলোয়াড়—সবাই পালমেইরাসের ভক্ত। আমার মনে হয় তোমার দলও পালমেইরাসই হওয়া উচিত। ”’
প্রিয় দল বেছে দিয়েছিলেন, আর সে আবেগটাও ছেলের মনে গেঁথে দিতে চেষ্টার কোনো কমতি নেই সিলভিয়ার। নিশ্চিত, ফুটবল ছাপিয়ে জীবনের সব ক্ষেত্রেই অন্ধ ছেলের ‘যষ্টি’ তিনি। মা বলে কথা!
তবে এমন কাণ্ড ফুটবল মাঠে এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে কলম্বিয়ান একজন বধির ভক্তকে হাত-মুখ নেড়ে আকার ইঙ্গিতে ধারাভাষ্য শোনান তার এক বন্ধু। সেটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে বেশ।
কদিন আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে নাপোলির বিপক্ষে লিভারপুলের ম্যাচেও একই দৃশ্য। মোহামেদ সালাহর গোলটা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী লিভারপুল সমর্থক বন্ধুকে বর্ণনা করে বোঝাচ্ছেন আরেক লিভারপুল সমর্থক, সেই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ার পর দুজনকেই পরে ক্লাবের অনুশীলনে ডেকেছে লিভারপুল। একই সৌভাগ্য হয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব রোমার এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী সমর্থকেরও, যাঁর খেলা ‘দেখা’র মাধ্যম তার বোন।
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- স্বর্ণের দাম নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী
- চরম দু:সংবাদ : ফেরত পাঠানো হল ৩১ প্রবাসী বাংলাদেশিকে
- হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা এত সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- চরম দু:সংবাদ : সৌদিতে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আটক
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড