| ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘আমি শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ৩ দিন খেতে দেয়নি’

বিশ্ব ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ জানুয়ারি ২৪ ০১:৫২:২৭
‘আমি শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ৩ দিন খেতে দেয়নি’

এ সপ্তাহে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের কয়েকজনের করুণ পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে।

মৌলভীবাজারের বাসিন্দা আমেনা বেগম (ছদ্মনাম) সৌদি আরবের রিয়াদে প্রায় দেড় বছর ছিলেন, যার মধ্যে ৫ মাসই তাকে কাটাতে হয় পুলিশের হেফাজতে।

তিনি জানান, যে বাসায় কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে যৌন প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। যৌন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টানা তিন দিন আমাকে খেতে দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয় এবং বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর বাসার সামনে গভীর রাতে পুলিশ আমাকে পায় এবং থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চিকিৎসা দেওয়ার পর সেখানকার এজেন্টের মাধ্যমে তাকে আবারো ঐ বাড়িতেই ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী। সেখানে ফিরে যাওয়ার পর আবারো বেশ কিছুদিন তার উপর শারীরিক অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চলে বলে জানান তিনি।

শারীরিক অত্যাচারের পর একপর্যায়ে তাকে আবারো একদিন রাতে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হলে পুলিশ তাকে বাসার সামনে খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশের হেফাজত থেকেই দেশে ফেরার ব্যবস্থা হয় তার। ২৫ বছর বয়সী এই নারী দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার পর গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন বলে জানান। যদিও যাওয়ার আগে তার কাছে গোপন করা হয়েছিল যে গৃহকর্মীর কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা তো হতোই, নিয়মিত খাবারও দেয়া হতো না। আর আমি যে এক বছর কাজ করেছি তার মধ্যে আমাকে কেবল দু’মাসের বেতন দেয়া হয়েছে; তাও আংশিক।

আমেনা বেগম আরও জানান, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য দালালকে এক লাখ টাকা দিতে হয় তাকে। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার সময় তাকে ফিরতে হয় খালি হাতে। বাবা-মা সুদে টাকা ধার নিয়ে আমাকে সৌদি পাঠিয়েছিল। সেখানে সব নির্যাতন, অত্যাচার সহ্য করেও কাজ করতাম টাকার জন্য। কিন্তু টাকা চাইলেই আমার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হতো। এক বছর কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত দুই মাসের আংশিক বেতন দেওয়া হয় আমাকে। আমেনা বেগমের সাথে ফেরত আসা নারীদের একজন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ফাতেমা বানু (ছদ্ম নাম)। সৌদি আরবে তার গল্পটাও অনেকটা একই রকম।

গহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসা করাতে অস্বীকৃতি জানায় গৃহকর্তা।

এরপর তাকে জোর করে মাদক সেবন করিয়ে ঘরে আটকে রাখা হয়। মাদক সেবনের কারণে এক পর্যায়ে তার মানসিক সমস্যাও তৈরি হয় বলে জানান এই নারী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

ব্রেকিং নিউজ : IPL 2025 নিলামের পর অবিশ্বাস্য মন্তব্য করে বো*মা ফা*টালেন বেন স্টোকস

ব্রেকিং নিউজ : IPL 2025 নিলামের পর অবিশ্বাস্য মন্তব্য করে বো*মা ফা*টালেন বেন স্টোকস

বেন স্টোকসের আইপিএল ২০২৫ মেগা নিলামে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রতি প্রতিশ্রুতি ...

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের এক মাত্র ওয়ানডে সিরিজ এইটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়ে ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কয়েক দিন আগেই পেরুর লিমাতে পর্দা উঠেছিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যেখানে দ্বিতীয় ...



রে