এদিকে হিরো আলমের পরাজয়ের খবর গুরুত্বসহ ছাপা হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতেও। জনপ্রিয় গণমাধ্যম জিনিউজ তাদের শিরোনাম করেছে, ‘ভোটের ময়দানে হিরোগিরি দেখাতে ব্যর্থ হিরো আলম’।

জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিরো আলমকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। তার রয়েছে বিশাল ফ্যান ফলোয়ার। অথচ ভোটের ময়দানে তার সেই জনপ্রিয়তা কোনো কাজেই এলো না। উল্টো ভোটাররা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এবার তার বগুড়া-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন। দ্বিতীয় হয়েছে আওয়ামী লীগ।এদিকে বিভিন্ন অভিযোগ করে জামানত ফেরত চেয়েছেন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম।

তিনি বলেন, ‘আমার লোকদের তো ভোটই দিতে দেয়নি। তা হলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে না কেন?’

হিরো আলম বলেন, আমার লোকজনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এজেন্ট দিতে দেয়া হয়নি। যাও কয়েকজনকে দিয়েছি, তাদেরও বের করে দেয়া হয়েছে।

জামানত হারানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ ভোট মানি না। আমার জমা দেয়া জামানতের টাকা তাদের ফেরত দিতেই হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে জয় পেতাম। কিন্তু ভোট হতে দেয়নি; বরং আমাকে ও আমার লোকজনকে তারা মেরেছে।’

হামলা-মারধর ও এজেন্ট বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে আলোচিত এই হিরো বলেন, নির্বাচনের দিন সকালে ‘হামলা-মারধর ও এজেন্টকে বের করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ আমি করেছি। কোনো সাড়া না পাওয়ায় ভোট থেকে সরে দাঁড়াই। আমাকে ভোট দিতে দিলে অবশ্যই পাস করতাম।’