গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক প্রার্থীর জামানত হিসেবে জমা থাকে ২০ হাজার টাকা করে। নিয়মানুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় ওইসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তাদের মধ্যে বিএনপির একজন, জাতীয় পার্টির দুইজন, সিপিবির দুইজন, বাসদের একজন ও স্বতন্ত্র চারজনসহ মোট ২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।

জামানত বাজেয়াপ্তরা হলেন- গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে বাসদের গোলাম রব্বানী শাহ পেয়েছেন ১২৩ ভোট, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ২০১ ভোট, গণতন্ত্রী পার্টির আবুল বাশার মো. শরিতুল্লাহ ৪৬৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফুল ইসলাম খন্দকার ১ হাজার ৪০০ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ ১৭৫ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের হাফিজুর রহমান সরদার ১৬৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের খান ১ হাজার ৫২৯ ভোট, আফরুজা বারী ৩৯৪ ভোট এবং এমদাদুল হক পেয়েছেন ১৯৬ ভোট)।

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে সিপিবির মিহির কুমার ঘোষ পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৭ ভোট, এনপিপির জিয়া জামান খান ২১৩ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আল আমীন ২ হাজার ২৮৯ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা যুবায়ের আহমদ ৩২৭ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মকদুবর রহমান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মো. মশিউর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭১৭ ভোট, এনপিপির খন্দকার মো. রাশেদ ৮৪৮ ভোট, জাকের পার্টির আবুল কালাম ১ হাজার ৬২১ ভোট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ছামিউল আলম ১ হাজার ২৫০ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সানোয়ার হোসেন ১ হাজার ১৬৬ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩২১ ভোট।

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জামানত হারিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ফারুক আলম সরকার। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৯৬ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু ৯ হাজার ২৩১ ভোট, সিপিবির যজ্ঞেশ্বর বর্মন ৩০৪ ভোট, এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল ৭২০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।