আসন্ন কোরবানি ঈদে ১০ গান নিয়ে তাঁর একটি একক অ্যালবাম বাজারে আসছে। 'না বলা কথা-৪' শিরোনামের এই অ্যালবামটি বাজারে নিয়ে আসছে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মাই সাউন্ড। ২০১২ সালে বাজারে প্রথম আসে 'না বলা কথা। ' এরপরে সিক্যুয়েল হিসেবে না বলা কথা-২, না বলা কথা-৩ বাজারে আসে।

'না বলা কথা'র মাধ্যমেই ইলিয়াসের সঙ্গীত জগতে পদার্পণ। অথচ তিনি ভাবেননি পুরোদস্তুর সঙ্গীত সঙ্গীতশিল্পী হয়ে উঠবেন। ইচ্ছে ছিল গাইবেন, সেটা শখের বশে। ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাথায় সঙ্গীতের ভুত চাপে। বন্ধুদের সাথে অধিকাংশ সময় আড্ডা দিতেন ব্রহ্মপুত্রের ধারে। সেখানে উঠে আসতো গানের প্রসঙ্গ। টুকটাক গান গাওয়া থেকে লক্ষ্যহীন এগিয়ে যাওয়া। এসএসসি পাশ করার পর ভর্তি হলেন ময়মনসিংহ ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে। গানের প্রতি আগ্রহ থেকে গায়কদের প্রতিও আগ্রহ বেড়ে যায়।

ইলিয়াস কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আসলে সে সময়টা এতোটাই সঙ্গীত বিভোরসময় ছিল যে মিউজিকের কিছু পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়তাম। ফেসবুকে মিউজিকের নানা লেখা পড়তাম। মিউজিক সংশ্লিষ্টদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতাম। মিউজিকের নানা দিক নিয়ে জানার চেষ্টা করতাম। বেশকিছুদিন পরের কথা মিউজিক নিয়ে তখন আমি সত্যিই সিরিয়াস। এভাবেই একদিন পরিচয় হয় অয়ন চাকলাদারের সাথে। তার সাথে সকালে কথা হয়, বিকেলেই দেখা করি। আমার পরিকল্পনার কথা জানাই। এরপরেই তো আমার স্বপ্ন সত্যি হয়। '

ইলিয়াস বলেন, 'আমার প্রথম অ্যালবামে এতো বেশি সাড়া পাবো কখনোই ভাবিনি। সত্যিই আমিই অভিভূত। তবে আমি পরিশ্রম করেছি। আমি জানি শুধু মেধাবী হলে হবে না, আবার শুধু পরিশ্রমীও হলে হবে না। দুটোর সমন্বয় ঘটাতে হবে। আমি তাই করেছি। রমজান মাস একটা ভ্যান ভাড়া করে সারা ঢাকা শহরে পোস্টার লাগিয়েছি। নিজের প্রচারণার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সারারাত ধরে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমি পোস্টার লাগিয়েছে। আমি আমার পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। '

ইলিয়াসের না বলা কথা-৪ সহ মোট গানের সলো অ্যালবাম ৪টি। তবে মিক্সড মিলে অ্যালবামের সংখ্যা ৩০০ এর মতো। ইলিয়াসের জনপ্রিয় গানগুলো হলো- 'না বলা কথা ১, ২, ৩', 'আমার ভেতর তুমি থাকো', এক পলকে, অবুঝ মন, ভুল বুঝোনা, নিশিদিন, নিল নয়না, এক পলকে-২, 'তুমি আর নেই', 'সে তুমি', 'হৃদয় পুড়ে যায়', 'শোন একটা কথা বলি। '