ভোট পর্যন্ত মামলা স্থগিতের দাবি ২০ দলীয় জোটের
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে পুলিশের মতো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া, ১৫ ডিসেম্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার না করা, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে নির্বাচনের ফল প্রকাশ না করাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে জোটটি। জোটের প্রধান সমন্বয়ক কর্ণেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে অলি আহমদ তাদের দাবি ও আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। বৈঠক শুরুর আগে জোটের শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বৈঠক কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন।
বৈঠক শেষে ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল (আজ) পর্যন্ত ইসি প্রমাণ করতে পারেননি তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন, তাদের সীমাবদ্ধতা আছে সেটা আমরা জানি, তবে আমরা যে ১৩টি প্রস্তাব এনেছি তাতে ইসি একমত হয়েছে। এসপি ও ডিসিদের বদলির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে অলি আহমদ বলেন, আমরা বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হোক চাই না।
যারা খুবই পক্ষপাতদুষ্ট তাদের নির্বাচনের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা হোক। যারা বিভিন্ন জেলায় আছে তাদের সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বদলি করলে এই সম্পর্ক কাজ করবে না। এছাড়া বিগত এক বছরে সরকার, চাকরির ভয়ে অথবা পরিবারের চাপে সরকারের কাছে মাথা নত করেছে। তারা রাতে ভোট কেটে বাক্স ভরেছে। তাদেরও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হোক। ঘনিষ্ঠভাবে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এমন রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদেরও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি করেন তিনি।
অলি আহমদ বলেন, সবাই বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি দৃশ্যমান সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। ঘরে-ঘরে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও সম্ভাব্য এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ২০ দল। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে, আপনারা কথা বলেছেন, তা কিন্তু কার্যকর হচ্ছে না। কর্ণেল অলি আহমদ বলেন, এখনো সারাদেশে গায়েবি মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ না থাকায়,
নির্বাচনের আগে পুলিশ বিএনপির এজেন্টদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখাবে। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ২০ দলীয় জোটের এ নেতা বলেন, সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের বিষয় না, আজকে পরিষ্কার ভাবে উনি বলেছেন, সিআরপিসি (কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর) ১২৭ থেকে ১৩১ পর্যন্ত এগুলো পরিষ্কার আছে। যে বা যারা নির্বাচনের দায়িত্বে যাবে তারা যে কোনো দুষ্কৃৃতকারীকে যে কোনো অবৈধ অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবেন। আমরা এটাও বলেছি আপনারা এটার ব্যাপকভাবে প্রচার করেন।
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ২০ দলীয় জোটের লিখিত ১৩ দফা দাবিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ইসি নিয়ন্ত্রণে থাকা বাঞ্ছনীয়। বেসরকারি গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইসির তরফ থেকে একটি গাইডলাইন করা প্রয়োজন। লিখিত বক্তব্যে আরও ?উল্লেখ করা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনেকেই সরকারি দলের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য রাতের আঁধারে ব্যালট পেপারে ভোট কাস্ট করে রাখেন।
চাকরি রক্ষার জন্য অনেক সময় তারা এই রকম অনৈতিক কাজে আত্মসমর্পণ করেন। এধরনের কর্মকাণ্ড এড়াতে ইসির আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। কমিশনকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপির স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি। নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে পুলিশের মতো সশস্ত্র বাহিনীকেও দায়িত্ব দেওয়া দরকার। ১৫ ডিসেম্বর হতে নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা প্রয়োজন। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় পূর্ণ ক্ষমতাসহ ১১ ডিসেম্বর হতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। ভোটের দিন এই সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
এত টাকা ব্যয় করে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময় মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের নিরাপত্তা রক্ষী পেয়ে থাকেন। একইভাবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিরাপত্তা দেওয়া যুক্তিযুক্ত। তা না হলে ইসি পক্ষপাতিত্ব করছে বলে মনে হবে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো বিরোধী দলের দাবি-দাওয়া শুনত ও ব্যবস্থা নিত। সেইভাবে এখন ইসি এই ব্যবস্থা নিতে পারে।
এর আগে দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন খান। সাক্ষাত্ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা অব্যাহত রেখেছে। গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ