শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে কেএম নূরুল হুদা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার ‘ঝামেলা’ দূর করতে হবে। আর এটি করতে পারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)।

নূরুল হুদা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতো ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয়ে দু’একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে। ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ব্যালটে ভোট দেওয়ার যে ঝামেলা সেটি দূর করতে হবে। ইভিএম সেটা করতে পারে। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনও আইনগত বাধা নেই। সেটা আমরা ব্যবহার করবো।।

তিনি বলেন, যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে, সেখানে কয়েকদিন আগে মানুষকে বোঝাতে হবে, যেন কোনও সমস্যা না থাকে। যারা ইভিএমের বিরোধিতা করে, তারা এটি এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। দিনটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ দিন, যে দিনে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, নির্বাচন পরিচালনায় আইনবিধি জানা দরকার। আপনারা নির্বাচন কিভাবে পরিচালনা করবেন, সেটা জানলেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জানার কথা নয়। বারবার বিভিন্ন পর্যায়ে এই ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আপনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।

তিনি আরও বলেন, পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা থাকেন মাঠে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অনেক সময় তীর্যক কথা বলতে পারে, কিন্তু নেওয়া যাবে না। তারা প্রশ্ন করবে, জানতে চাইবে, সেটি তাদের বোঝাবেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।