যে কারনে আবারও আলোচনায় খালেদার ভোট

সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২)(ঘ) উপ-অনুচ্ছেদে দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয় ‘নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে’, তা হলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। আবার গণপ্রনিতিধিত্ব অধ্যাদেশেও (আরপিওতেও) একই কথা বলা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়েছেন। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিলেও হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবর এ মামলায় তাকে ১০ বছর সাজার রায় দিয়েছেন। এ মামলায় দণ্ড স্থগিত চেয়ে গতকাল সোমবার আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার পক্ষে একটি ফৌজদারি বিবিধ আবেদন (সিএমপি) দায়ের করা। এখন আবেদনটি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
এ ছাড়া ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। গত রবিবার ওই সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে একটি আপিল করা হয়েছে। বর্তমানে দণ্ডপ্রাপ্ত দুটি মামলায়ই খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারাধীন। ইতোমধ্যে তিনটি আসনে নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা কে কী বললেন, তার ওপর খুব বেশি কিছু নির্ভর করে না। তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার যোগ্য আছেন। খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত দুটি মামলায়ই আপিল করেছেন। তার আপিল বিচারাধীন (পেন্ডিং)। এই আদালতের রায় আছে, আপিল বিচারাধীন থাকলে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।
নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত মামলার আপিল পেন্ডিং থাকলেও দণ্ড স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না- এমন প্রশ্নে জয়নুল আবেদীন বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। বিষয়টা যখন বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে আসবে, তখন সেটা আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আপিল হলে দণ্ড বাতিল হলো না। আপিল হলো দণ্ড বাতিলের একটি পদক্ষেপ। দণ্ড যতক্ষণ না বাতিল হবে, সে পর্যন্ত তিনি মুক্ত মানুষ হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না। আমার অভিমত, সাজা সাময়িক স্থগিত করেও কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তার সাজা বাতিল হতে হবে। ফলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আপিল শুনানি অবস্থায় থাকলেও হবে না, যে পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়।’
এর আগেও অনেকেই দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা অনেকেই আইনের নানা ফাকফোঁকর দিয়ে করতে পারেন। কিন্তু আমার ব্যাখ্যা হলো, দণ্ড বাতিল না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আবার সাজা স্থগিত হলে আপাতত জেল খাটা থেকে হয়তো অব্যাহতি পেতে পারেন, কিন্তু নির্বাচন করতে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টা আদালতের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, ‘আদালত যদি সাজা দেন, ওই ব্যক্তি যদি অযোগ্য হয়ে যান, তা হলে ওনার আরেকটি পথ আছে আপিল করার। আপিলে যদি আগের সাজাটা স্থগিত করে দেন আদালত, তা হলে উনি প্রার্থী থাকবেন। যদি স্থগিত না করে তা হলে আমাদের পক্ষ থেকে ওনাকে প্রার্থী করার ক্ষমতা থাকবে না।’
অন্য কোনো উপায়ে প্রার্থী হওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আরেকটা পথ থাকবে, আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। আদালত থেকে ব্যাখ্যা এনে দিতে পারেন। আদালত যদি ব্যাখ্যা করে যে, উনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য। সেই রায়টা আছে। তা হলে অবশ্যই তাকে প্রার্থী করব।’
আইনবিশেষজ্ঞ ও ইসির সাবেক আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের মতে, সংবিধানে দণ্ডিত হলে নির্বাচনে অযোগ্য হবে বলে উল্লেখ আছে। সেই দণ্ডিত অর্থ বিচারিক আদালতের রায়ে দণ্ডাদেশ না হাইকোর্টের আপিলের রায়ে দণ্ড বহাল থাকা না আপিল বিভাগের রায়ে দণ্ড বহাল থাকা কোনটাকে বোঝানো হয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়। এই প্রশ্নটা এখন পর্যন্ত আপিল বিভাগের রায়ে চূড়ান্ত মীমাংসা হয়নি। এ ব্যাপারে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। তাই এ মুহূর্তে হলফ করে বলা যাবে না যে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন অথবা পারবেন না। এই প্রশ্নটা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল এবং রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর উচ্চ আদালতের রায়ে নির্ধারিত হবে। তাই তার আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি অনেকটা উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর নির্ভর করছে।
সুত্র;dainikamadershomoy
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ