জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ভাবনা কী
সমীকরণ জটিল হওয়ায় আরেকটি কারণ হচ্ছে, বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্য শরীক দলগুলোর জামায়াতে ইসলামী বিরোধী অবস্থান রয়েছে।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
মি: আহমদ জানান, বিএনপির মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে দুই ধরণের মতামত আছে। একটি অংশ মনে করছে যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচন করলে কোন ক্ষতি নেই। আরেকটি অংশ মনে করে, ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের নির্বাচন না করাই ভালো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাস এ কমিটির সদস্য।
আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে তারা বিভিন্ন দলের সাথে কথা বলবেন। এরপর সে কমিটি একটি খসড়া তৈরি করে স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠাবে।
বিএনপি মনে করছে ১০ শতাংশ নিয়ে জোটের শরীক দলগুলোর সাথে জোরালো দরকষাকষি হতে পারে।
মি: আহমদ বলেন, "যেখানে আমাদের ভালো প্রার্থী আছে সেটাকে আমরা চাইবো না যে বিসর্জন দিতে। একটা বিষয়ে সবাই একমত যে আমাদের এমন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া উচিত যার জেতার সম্ভাবনা আছে।"
এদিকে আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান গত বুধবার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তারা জোটের ভিত্তিতেই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
জামায়াতের এই নেতা ধারণা দিয়েছেন যে তাদের ৫০-৬০ জন এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় বিএনপি'র সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি তোলে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা। বিএনপি যেন জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা ত্যাগ করে - এমন পরামর্শও দেয়া হয় তাদের।
এরকম পরিস্থিতিতেও কোনো একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেন মি. রহমান।
"একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে যদি সফল করতে হয় তাহলে সবাইকে বড় মনের পরিচয় দিতে হবে", বলেন মি. রহমান।
একইভাবে যেসব আসনে জামায়াতের নেতারা প্রার্থিতা করবেন, সেসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের কোন ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।
এখানে জামায়াতে ইসলামী আসার কোন সুযোগ বা সম্ভাবনা আছে বলে আমরা মনে করছি না।
জামায়াতে ইসলামীর দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারলেও তাদের নেতারা নিবন্ধিত দলের প্রতীক কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।
যেখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রার্থী হবে সেখানে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেবে কি না?
এমন প্রশ্নে সুব্রত চৌধুরী বলেন, "জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেখানে প্রার্থী দেবে সেখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী থাকার কোন প্রশ্নই আসেনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৩০০ আসনে সর্বসম্মতভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে।"
সুত্র;বিসিবি
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ