এখন থেকে সহজেই কাতার যেতে পারবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা

ফলে কাতারের শ্রমবাজারে হয়রানি ও প্রতারণা থেকে বাঁচবেন কর্মীরা। এই পদ্ধতি চালুর ফলে কতিপয় চিহ্নিত জনশক্তি প্রেরণকারী ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে গঠিত কাতারের ভিসা ট্রেডিং সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম কমবে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাড়া আরো সাতটি দেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কাতার সরকার।
এদিকে, এখনো লাখ লাখ টাকা খরচ করে কর্মীরা কাতার যাচ্ছেন এবং প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তারা কাতারে গিয়ে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজ পাচ্ছেন না, এমনকি অনেক সময় বেতন ও অন্য সুবিধাদি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া এক শ্রেণির রিক্রুটিং এজেন্সির কারণে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়ন ছাড়াই অনেক কর্মী কাতারে অবৈধভাবে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে প্রায়ই দেশটির শীর্ষ পর্যায় থেকে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্তা ব্যক্তিদের কথা শুনতে হচ্ছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কাতারে প্রবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাতারের পরিচয়পত্র পাবেন বাংলাদেশি কর্মীরা। ইতোমধ্যে ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের ১১ তলায় এবং সিলেটে ভিসা সেন্টার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৫ অক্টোবর ঢাকার ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু অনিবার্য কারণে আগামী ৫ নভেম্বর ভিসা ও মেডিকেল সেন্টার চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর থেকেই বাংলাদেশি কর্মীরা ভিসাকেন্দ্র দু’টি থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে কাতার যেতে পারবেন। এই পদ্ধতির ইতিবাচক দিক হলো- কাতারগামী কর্মীরা ওয়ান স্টপের মাধ্যমে সকল সুবিধা পাবেন।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কর্মীর ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হবে। এটা গৃহীত হলেই সঙ্গে সঙ্গে কাতার গমনেচ্ছুক কর্মীর ক্লিয়ারেন্স এসে যাবে। এই ধারাবাহিকতায় কর্মীর মেডিকেলও সম্পন্ন হবে খুব সহজে। ফলে ওই কর্মীর নামে তখনই ভিসা কনফার্ম হয়ে যাবে।
ইতিপূর্বে একজন কর্মী কাতার যাওয়ার পর সেখানে আবার মেডিকেল করাতে হতো এবং এর পর ভিসা স্ট্যাম্পিং হতো। নতুন পদ্ধতিতে স্ট্যাম্পিং লাগবে না এবং যাবতীয় হয়রানি থেকে মুক্তি মিলবে। সর্বোপরি, এখন ঢাকা থেকেই কাতারগামী কর্মীরা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে পারবেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাতারে গেছেন ৫৬ হাজার ৭০৮ জন কর্মী। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই গেছেন পাঁচ হাজার ৭১৪ জন।
এদিকে নতুন এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছে কাতারে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক এবং বিদেশগামীরা।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ